• সারাদেশ

    নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া সেই কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

      প্রতিনিধি ১৪ আগস্ট ২০২২ , ১০:২৫:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিশেষ প্রতিবেদন:-

     

    রোববার ভোররাতে নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নাহারের কলেজছাত্র স্বামী মামুনকে আটক করে রেখেছে পুলিশ। 

     

    মামুন-নাহার দম্পতি নাটোর শহরের বলারাপাড়ার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলায় ভাড়া থাকতেন।

     

    নিহত খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

     

    ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান- তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের লাশ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে পুলিশে খবর দেয়।

     

    এর আগে গত বছর ১২ ডিসেম্বর ছয় মাসের প্রেমের পর স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়া এক ছেলের জননী খায়রুন নাহার কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সারাদেশের সচেতন মানুষ ছাত্রকে শিক্ষিকার বিয়ের নিয়ে হাজারো মন্তব্য করে।

     

    তবে তখন বর ছাত্র মামুন জোরালোভাবে বলতে থাকেন- ভালোবাসার কোনো বয়স নেই, মন্তব্য কখনো গন্তব্যে পৌঁছাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তার এমন বক্তব্যও সারাদেশে ভাইরাল হয়। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করা আলোচিত এই ছাত্র-শিক্ষিকা দম্পতির বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় মৃত্যুর মাধ্যমে প্রেমের পরিসমাপ্তি ঘটলো।

     

    নাটোর থানার ওসি মো. নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না, কেন এমনটা ঘটলো তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

     

    এর আগে শিক্ষিকা মোছা. খায়রুন নাহার জানিয়েছিলেন, আগের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। দিনের পর দিন তিনি ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতেন। এর মধ্যেই ফেসবুকে তার সঙ্গে কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। মামুনের সঙ্গে কথা বলে তিনি শান্তি অনুভব করেন। পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বরে কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করায় ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি। তাই নাটোর শহরে তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছয় মাস প্রেম করার পর কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করা খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ