প্রতিনিধি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:৫৬:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
ভোলা ‘র চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও মৎস আরৎ মালিক মোঃ সবুজ (৩৫) ও তার সাঙ্গ পাঙ্গদের বিরুদ্বে বিভিন্ন ভাবে জেলে হয়রানি,চাঁদাবাজি, জলদস্যুতার অভিযোগ করেছেন উক্ত ঢালচর সহ মেঘনা পাড়ের তজুমদ্দিন, হাকিমুদ্দিন স্বরাজগঞ্জ এসাকমোড়ের শত শত জেলেরা,
ভুক্তভোগী জেলেরা অভিযোগ করে বলেন,সবুজ মেম্বার তার নিজ এলাকায় ইতিমধ্যে নিজেকে তিনি দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী হিসেবে জাহির করেছেন,ঢালচরে মৎস আরৎ এর মালিক হওয়ার সুবাদে মেঘনা নদীতে তিনি চাঁদাবাজি, জলদস্যুদের সাথে যোগসাজশ করে জেলে অপহরণ, করে মুক্তিপণ আদায়,মাছ ধরা ট্রলার গায়েব করা,জেলেদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন বলে জানান তারা, তারই ধারাবাহিকতায়,গত ১৯ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিকাল পাচ ঘটিকায় সবুজ মেম্বার তার ভাড়া করা লোক,বোরহানউদ্দিন উপজেলার মোঃ রহিম মাঝি (৪০) পিতাঃ- আবদুল হক পক্ষিয়া ৮নং ওয়ার্ড, কে, দৌলৎখান উপজেলার, সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এছাকমোড় মাছ ঘাটে পাঠায়,সেখানকার স্থানীয় জেলেদের,নাম ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য, পরে বিষয়টি স্থানীয় জেলে দের সন্দেহ হলে তারা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে সাংবাদিকদের কাছে খবর আসে,খবর পেয়ে একাদিক গণমাধ্যম কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে জেলেদের কাছে অবরুদ্ধ রহিম মাঝি কে জেলেদের নাম ঠিকানা কেন সংগ্রহ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,মৎস আরৎ মালিক সবুজ মেম্বার তাকে এখানে পাঠিয়েছে এখানকার জেলেদের কাছে উনি লক্ষ টাকা পাওনা আছে বললে আমি এখানে এসে দেনাদার জেলেদের খোজ করিতে থাকি,এ বিষয় অভিযুক্ত সবুজ মেম্বার এর সাথে ফোনে জেলেদের অভিযোগ এবং টাকা পাওনা আছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে,তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন তার বিরুদ্বে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা তবে মামলা করার কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন আমি টাকা পাই আমার এলাকার এক জেলে র কাছে তাই মামলা করেছি,সংশ্লিষ্ট ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার এর সাথে সবুজ মেম্বার এর অপকর্মের বিষয় জানতে চাওয়া হলে,তিনিও জেলেদের অভিযোগের বিষয় সহমত পোষণ করে বলেন এই সবুজ মেম্বার ও তার বাবা মেঘনা নদীতে অসহায় জেলেদের নির্যাতন নিপীড়ন করেন,বিষয়টি আমি জেনে,তাকে আমার পরিষদের মেম্বার হিসেবে,বাধা প্রধান করি কিন্তু তিনি আমার কোনো কথা শোনেনি,
চরফ্যাশন উপজেলা মৎসকর্মকর্তা বলেন বিষয়টি আমি শুনিনি,তবে অভিযোগ কারিরা যদি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়, তখন আমাকে দায়ীত্ব দিবে তখন আমি তদন্ত অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিব,এদিকে,অবরুদ্ধ জেলে রহিম মাঝীকে উপরোল্লিখিত সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড এর মোসলেউদ্দিন মেম্বার উপস্থিতিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।