• সারাদেশ

    চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে সাথিঁয়া ছাত্রলীগের সম্পাদক সানা সহ গ্রেফতার ৫

      প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২২ , ৭:৫৫:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় সাথিঁয়া উপজেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সেক্রেটারি হাসিবুল খান সানাসহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে পাবনা আদালতে প্রেরণ করেছে।উপজেলার চরভদ্রকোলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনকে মারপিট করে রবিবার বিকালে অপহরণ করে নিয়ে আসে সাঁথিয়ায় সন্ত্রাসী এই চক্র।

     

    উপজেলা সদরের ডাক বাংলোর সম্মুখস্ত ‘সাঁথিয়া পৌর সভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর ব্যাক্তিগত অফিস ‘ফেস টু ফেস’ অফিসে হেলালকে আটকে রেখে মারপিট করে। হেলালের এক আত্মীয় বিষয়টি পুলিশের ৯৯৯ নং মোবাইল ফোনে অভিযোগ দেয়।

     

    অভিযোগের ভিত্তিতে সাঁথিয়া থানা পুলিশ ৫ জনকে সন্ধ্যায় আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে : হাসিবুল খান সানা (পিতা- জামাল উদ্দিন, কোনাবাড়িয়া), মেহেদী হাসান রুবেল (পিতা-জামাল সরদার, চক নন্দনপুর), স›দ্বীপ কুমার (পিতা-নৃপেন চন্দ্র, কোনাবাড়িয়া), ইয়াছিন আলী (পিতা-আজগর আলী, চরভদ্রকোলা), মিলন (পিতা-আবুল কালাম)।

     

    এ ব্যাপারে হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। বাংলাদেশ দÐবিধির ৩৪২, ৩৬৫, ৩৩৪ এবং ৩৮৫ ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

     

    সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দেকুল ইসলাম জানান, চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, এলাকায় শান্তি বিন্ষ্টকারী। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলা রজু করা হয়েছে।
    আজ সোমবার সকালে আসামীদের পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

     

    হাসিবুল খান সানাকে ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর পরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করে। চার মাস হাজত বাসের পর সে জামিনে মুক্তি পায়।

     

    অপরদিকেমেহেদী হাসান রুবেল একাধিকবার চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেফতার হয়। অতিসম্প্রতি (২৪ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে অঝিযোগ করেন গোপিনাথপুর গ্রামের কৃষক ফরিদ। সাঁথিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিস প্রাঙ্গণে অফিস চলাকালীন রুবেল এবং তার ৫ সহযোগী ফরিদকে মারপিট করে। আহত ফরিদ সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসারত থানা অবস্থায় হাসপাতালে প্রবেশ করে রুবেল ও সহযোগী বিশু ফরিদকে মামলা না করতে হুমকী প্রদান করে। ফরিদ নিজেই বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

     

    গত ২৫ মে রাতে সানা, রুবেল গং হামলা করে ‘সংবাদ’ এর সিনিয়র সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনকে। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। হাবিবুর রহমান স্বপন বাদী হয়ে সানা ও রুবেলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
    সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ এই চক্রটি উপজেলা সদরে যারা বিভিন্ন অফিসে কাজ-কর্ম করতে আসে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলেই নানাভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে।
    সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের মুল হোতারা গ্রেফতার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

    আরও খবর

    পাবনা প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশী বুক ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত বিজয়ের গল্প আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে  

    জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত ফটো সাংবাদিক আমজাদ হোসেন

    সুজানগর পুলিশ কর্তৃক চেকপোস্ট বসিয়ে মাদকদ্রব্য গাঁজা সহ একজন আটক

    রামগড়ে বিএনপির একাংশের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    ময়মনসিংহের ফুলপুরে শেখ রাসেল ৫৯ তম জন্মদিন উদযাপন

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ