• সারাদেশ

    মুড়িমাখা বিক্রি করে সংসার চালান শিরিনা,চায় একটু সহযোগিতা

      প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২২ , ৭:৩৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

    শহিদুল ইসলাম নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

     

    নওগাঁ সদর উপজেলার বাসিন্দা শিরিনা। প্রায় ১০ বছর আগে রিক্সা চালক সুজনের সাথে বিয়ে হয় তার। প্রথম কয়েকবছর ভালোভাবে সংসার জীবন কাটলেও যখন জিনিসপত্রের দাম উর্ধগতি এবং সন্তানেরা বড় হয়ে যায় তখন থেকে শুরু হয় সংসারে অভাব। স্বামী সুজন পেশায় একজন রিক্সা চালক,দিন শেষে যা রোজগার হয় সেটা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালান। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারনে প্রভাব পড়েছে তার সংসারে।

     

    তিন ছেলেকে সাথে নিয়ে তাদের সংসার। বড় ছেলের বয়স আট বছর এবং সব ছেলেরাই পড়াশোনা করছে ফলে তাদের পড়াশোনার খরচ ও সংসারে যাবতীয় দায়িত্ব যখন রিক্সা চালক সুজনের ঘাড়ে তখন জীবন নিয়ে পড়ে যায় ভোগান্তির মধ্যে। এক জনের রোজগারে কি আর সংসার চলে! নানা রকম প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে সংসার জীবন অতিবাহিত করে আসছেন শিরিনা ও সুজন। এমন অবস্থা দেখে স্বামী সুজনকে নিজে কিছু করার জন্য বলতে থাকে তাতে সুজন কোনোভাবেই রাজি হয় না। সুজন কখনোই চাইতো না তার বোউ রোজগার করুক।

     

    সুজন তিন বছর ধরে মুড়িমাখা বিক্রি করা শুরু করে নওগাঁর বিভিন্ন স্থানে। করোনাকালীন সময়ে মুড়িমাখা বিক্রি করা বন্ধ করে রিক্সা চালিয়ে সংসার চালায় সুজন। তিন ছেলের স্কুলের খরচ ও সংসারের যাবতীয় খরচ চালানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়লে শিরিনা তা বুঝতে পারে এবং স্বামীকে একদিন প্রস্তাব দেয় তার আগের ব্যবসার কাজ সে করতে চায়। স্বামী সুজন প্রথমে রাজি না হলেও বাস্তবতা বুঝে এক সময় রাজি হয়ে যান। স্বামীর কয়েকদিনের বেতন একসাথে করে কিছু মালামাল কিনে ব্যবসা শুরু করেন গত এক মাস আগে। প্রতিদিন বাড়ি থেকে আসার সময় নিজ রিক্সাযোগে শিরিনাকে নওগাঁ জেলা পার্ক এর সামনে নামিয়ে দেন আবার মুড়িমাখা বিক্রি শেষ হলে সন্ধ্যার সময় বাড়িতে নিয়ে যান সুজন।

     

    শিরিনা জানান, প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লাভ থাকে তার এতে দুজনে মিলে কোনোমতে সংসার চলছে।শিরিনা আরো বলেন,আমার ছোটবেলা থেকেই ব্যবসার প্রতি প্রবল ইচ্ছা ছিল কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ায় ও পারিবারিক স্বচ্ছলতা না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। কেউ যদি আমার পাশে থাকে আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ