প্রতিনিধি ৩ জুলাই ২০২২ , ৮:৩৯:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ৭১ ডেস্ক ঃ পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলাধীন কাশিনাথপুর এর একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রী কলেজ। ১৯৭২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় নাটিয়াবাড়ীর কৃতী সন্তান রণাঙ্গনের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হোসেনের নামে এই কলেজটির নামকরণ করা হয়।
হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে ৫০ টি বছর পেরিয়ে গেলেও এতদিন ছিল না কলেজটির প্রধান ফটক। বিশেষকরে কাশীনাথপুর বগুড়া মহাসড়কের পাশে অবস্থিত পুরনো এ প্রতিষ্ঠানটি শনাক্ত করার কোনো নির্দেশনা বা নামফলক নির্মিত হয়নি এত বছর।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) তরিত কুমার কুন্ডুর উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদের নির্দেশনায় এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীর মঞ্জুর এলাহীর সহযোগিতায় অবশেষে শুরু হলো প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ।
গতকাল শনিবার (২ জুলাই) সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি এস এম জামাল আহমেদ প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাশিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মীর মঞ্জুর এলাহী, গভর্নিং বডির সদস্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন মিয়া, মো. মুজিবুর রহমান মুকুল, জনাব মোঃ আজম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) তরিত কুমার কুন্ডু, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও আমাদের সমাচার অনলাইন নিউজের সম্পাদক মোঃ মাহবুব হোসেন, গ্রন্থাগার প্রভাষক এম এম শাহিনুর রহমান, গণিত বিভাগের প্রভাষক মামুনর রশিদ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।
ইতঃপূর্বে বগুড়া রোডে জনতা ব্যাংকের উল্টোদিকে কলেজের প্রবেশ মুখে এ গেটটি নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, জনাব তরিতকুমার কুন্ডু উপাধ্যক্ষ পদে যোগদানের পরে প্রধান ফটক নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরেন। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি এস এস জামাল আহমেদকে একটি গেট নির্মাণের জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানান। অতঃপর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় এ গেটটি নির্মিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পুরনো এ প্রতিষ্ঠানটি লেখাপড়া ও শৃঙ্খলার দিক দিয়ে ইতোমধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। এ বছর ভর্তি ইচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী কাম্য জিপিএ না থাকার কারণে ভর্তির সুযোগ পায়নি এ প্রতিষ্ঠানে। কলেজ ড্রেস নিশ্চিত করা, নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা ও বহিরাগতদের কলেজ ক্যাম্পাসে আনাগোনা বন্ধ করা সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) তরিত কুমার কুন্ডু বলেন, সাঁথিয়া উপজেলার পুরনো এ কলেজটি উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। সরকারিকরণ, অনার্স কোর্স চালু করা, বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করা, শিক্ষার মান উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কার্যকরী উদ্যোগ প্রয়োজন। ৫০ বছরের পুরনো কলেজে মহাসড়কের পাশে একটি গেট না থাকাকে তিনি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন। কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য বৃন্দ, শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবার ব্যাপারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন