প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২২ , ২:৪২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃমুক্তাদির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরের কালীগঞ্জের সৌদী আরব প্রবাসী মো. ইয়াছিন মিয়া (৩৮) সাফ কবলা দলিল মূলে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। উক্ত জমি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদানসহ পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে স্থাণীয় প্রভাবশালী আব্দুল বাতেনের পুত্র পনির, মনির ও কাওছারের বিরুদ্ধে। কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আনিছুর রহমান ও উপ-পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ থানাধীন ভাদার্ত্তী গ্রামের মো. তাঁরা মিয়ার ছেলে মো. ইয়াছিন মিয়া বিগত ১৯ সেপ্টেম্বর ২২ তারিখে কালীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সাবকাবলা দলিল মূলে মো. সোলেমান মিয়ার নিকট থেকে ৫ শতক জমি খরিদ করেন। এবং দাতা সোলেমান মিয়া জমির দখল বুঝিয়ে দেন। জমির মালিক প্রবাসী মো. ইয়াছিনের ছোট ভাই মো. রাজিব মিয়া গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে ১৮ জন শ্রমিক নিয়ে জমির বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ কাজ করেন। এবং গত ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মো. রাজিব মিয়া নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে ওয়ালের বাকী কাজ করতে গেলে স্থাণীয় প্রভাবশালী মুনশুরপুর এলাকার মৃত বাতেনের পুত্র পনির, মনির ও কাওছার সহ অজ্ঞাত ৭/৮জন সন্ত্রাসী এসে কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। এ ঘটনায় প্রবাসীর ছোট ভাই মো. রাজিব মিয়া বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আনিছুর রহমান ও উপ-পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে বিবাদী পনির হোসেন বলেন, জমির দাতা সোলেমান আমাদের নিকট জমি বিক্রি করার কথা থাকলেও আমাদের না জানিয়ে প্রবাসী মো. ইয়াছিনের নিকট জমি বিক্রি করেছে। ঐ জমিতে যাতায়াতের জন্য যে রাস্তাটি ছিল তা আমার জমির উপর দিয়ে। বর্তমানে আমি রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছি। তারা আমার বাড়ির জায়গা ছাড়লে আমি রাস্তা খুলে দিব। আর নয় রাস্তা খুলে দিবনা।
জমি বিক্রেতা সোলেমান মিয়া বলেন, আমি পনিরের কাছে জমি বিক্রির কথা বললে তারা জমির মূল্য বাজার দরের চেয়ে অনেক কম বলে। আমি কিছু দিন পর পনিরকে জমি বিক্রির কথা বললে পনির আমাকে সাফ জানিয়ে দেয় তারা আমার জমি ক্রয় করবে না। পরে আমার টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় আমি ইয়াছিনের নিকট থেকে বায়না নেই এবং গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২২ তারিখে কালীগঞ্জ সাব-রেজিঃ অফিসে সাফ কবলা দলিল সম্পাদন করিয়া দেই।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আনিছুর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।