• সারাদেশ

    চিলমারীতে শিশু ধর্ষনের অভিযোগ, রিক্সা চালক আটক

      প্রতিনিধি ২০ অক্টোবর ২০২২ , ১০:০৭:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

    মোঃ রোকন মিয়া কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

     

    কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামে এক রিকশাচালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। সকালে উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের খেরুয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত রাজ্জাককে আটক করে থানায় নেয়।

     

    ঢুসমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুটিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান ওসি।

     

    অভিযুক্ত রাজ্জাক খেরুয়ারচর গ্রামের মৃত শুক্কুরের ছেলে। রাজ্জাক বিবাহিত এবং তার পরিবারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তিনি ঢাকায় রিকশা চালান।

     

    ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, বুধবার সকালে তিনি মেয়েকে ভাত উঠাতে বলে গরুর জন্য ঘাস আনতে যান। এ সুযোগে রাজ্জাক তার বাড়িতে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। প্রতিবেশী এক শিশু এ ঘটনা দেখে ফেলে। পরে রাজ্জাক দ্রুত সটকে পড়ে। প্রতিবেশী শিশুটি এ ঘটনা সবাইকে বললে ভুক্তভোগী শিশুর মা শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পান। ঘটনার পর অভিযুক্ত রাজ্জাক পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা নৌকা ঘাট থেকে আটক করে থানায় খবর দেয়।

     

    শিশুটির মা বলেন, ‘রাজ্জাকের বিরুদ্ধে গ্রামের একাধিক শিশুকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে নিজ পুত্রবধূদের যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তার ছেলের দুই স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে গেছে।’ অভিযুক্ত রাজ্জাকের কঠিন শাস্তি দাবি করেন শিশুটির মা।

     

    তিনি বলেন আমি থানায় মামলা করতে আসছি। আমার মেয়ের যে এতবড় ক্ষতি করেছে তার যেন কঠিন শাস্তি হয়। গ্রামের আর কোনও শিশুর যেন সে ক্ষতি করতে না পারে।

     

    নয়ারহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হাসান নিরাশ বলেন ধর্ষণের অভিযোগের পর ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় স্থানীয়রা রাজ্জাককে আটক করে। সে গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল। পরে তাকে খেয়াঘাট থেকে আটক করা হয়। তবে সে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    অভিযুক্ত রাজ্জাক থানায় আটক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

     

    ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    রূপগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা করার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড  

    কালীগঞ্জে নতুন এসি-ল্যান্ড উম্মে হাফছার যোগদান

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    সিরাজগঞ্জে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

    রামগড় চা-বাগানে বজ্রপাতে ছয় শ্রমিক আহত

    আমিনপুরে স্বামীকে জিম্মি করে গর্ভবতী নারীকে গণধর্ষণ