প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২২ , ৯:৫১:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
রবিউল ইসলামঃ
দীর্ঘ ২১ বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে স্থান পেয়েছেন ২৮৩ জন। বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর এটাই প্রথম কমিটি। সর্বশেষ কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়েছিলো ২০০৩ সালে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শাখা ছাত্রদলের ২৮৩ সদস্য এ কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সহ-সভাপতি ৫৫ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৬৭, সহ সাধারণ সম্পাদক ৫৬ জন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ৫৭, বিভিন্ন সম্পাদক পদে ২৭ জন এবং সদস্য ১৮ জন। এ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী পর্যন্ত স্থান পেয়েছে। তবে এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন গুম হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের তিন কর্মী আসাদুজ্জামান রানা, মাজাহারুল ইসলাম রাসেল ও আল-আমিন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তারা সহ-সভাপতি হিসাবে মনোনীত হয়েছেন।
এর আগে, গত ৩০ জুন আসাদুজ্জামান আসলামকে সভাপতি ও সুজন মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— সিনিয়র সহসভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আরেফিন। এরপর গত ২৫ জুলাই আরেক বিজ্ঞপ্তিতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান রুমিকে প্রচার সম্পাদক ও সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগকে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ৯ আগস্ট থেকে শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ফরম বিতরণ শুরু করে।
দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দিয়ে শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, দীর্ঘ ২১ বছরের শ্রমের ফসল হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুল কাঙ্খিত পূর্নাঙ্গ কমিটি উপহার দেয়ায় আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর অবশ্যম্ভাবী রাষ্ট্রনায়ক দেশনায়ক তারেক রহমানকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংগ্রামী সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ভাই ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের প্রতি। দেশমুক্তির আসন্ন যুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল রাজপথে অগ্রগামী সৈনিকের ভূমিকা পালন করে এদেশের গণমানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিটি নেতা কর্মী তাদের জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবে না।