প্রতিনিধি ৪ নভেম্বর ২০২২ , ৬:৫২:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
একটি কালভাটের অভাবে দুই গ্রামের শতাধিক একর জমি জলাবদ্ধর বাস্তবচিত্র সরেজমিন। এলাকা সূত্র জানা গেছে, বিএনপির ক্ষমতা আমলে মুনজুর কাদের এমপি সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে নদী বাধদিয়ে মৎস্য খামার করতে গিয়ে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। মৎস্য খামারের চারপাশে সড়ক নির্মাণ করে কোদালিয়া পুর্ব ও পশ্চিম কোদালিয়া গ্রামকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। বন্ধ করে দিয়েছে রবি ফসল উৎপাদন,। গত কয়েক বছর আগে বন্যার পানির স্রোতে দক্ষিণ ও উত্তর পাশে সড়ক ভেঙে খাল হয়ে যায়। যোগাযোগ রক্ষা ও সচল রাখতে রাজ্জাক মুন্সির বাড়ির পাশে ব্রীজ স্থাপনা করা হলেও উত্তর পাশে ব্রীজ নেই, নেই জলাবদ্ধ পানি বের হওয়ায় ব্যবস্থা। অথচ আবাদি জমি পানি আটকে জলাবদ্ধ হয়ে বছরের পর বছর কৃষিতে রবি ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে এক ফসলি জমি হয়েছে,কালভার্ট নির্মাণ করে জটিলতা নিরাশনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না, রাজ্জাক মুন্সির বাড়ির দক্ষিণ পাশে সড়ক কেটে ব্রীজ বা কালভার্টের দাবিসহ অনেকেই প্রতিবাদ করেও কোন সুফল আসছে না। এখন কৃষকরা চাষাবাদ নিয়ে হতাশ। কৃষিতে সমৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বান্ধব সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন চৌহালীর কৃষক ও কৃষাণীরা। রমজান মন্ডল বলেন, কৃষিতে বিপ্লব ও উৎপাদন মুখি জমি কোদালিয়া মৌজা, কিন্তু এজমিতে একবার পানি ডুকলে আটকে থাকে মাসের পর মাস। পানি নিসকাষন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নাই। ফলে এ এলাকার কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে মাসকলাই, মুশর, সরিষাসহ বিভিন্ন রবি ফসল থেকে। এতে ক্ষতি অনেক পুষিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। পশ্চিম কোদালিয়ার কৃষক ঠান্ডু বলেন, আষাঢ় মাসে পানি আসছে এখন কার্তক মাস বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা নাই। এলাকায় দুই আবাদ বহাল ও উৎপাদন লক্ষ মার্তা অর্জনে এখানে কালভার্টের দরকার।
উপজেলা কৃষি অফিসার জেরিন আহমেদ বলেন, একটি কালভার্টই বদলে দিতে পারে চৌহালীর দু- গ্রামবাসির ভাগ্য।