প্রতিনিধি ৫ নভেম্বর ২০২২ , ১২:০৯:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
বিয়ের ১২ বছর পর মাধ্যমিক পাশ করে, শেষ করেছেন এল এল বি। পরিশ্রমি এক যুব মহিলালীগ নেত্রী বর্ষা চৌধুরী দায়িত্ব পালন করছেন পাবনা জেলা যুবমহিলা লীগরে তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে। স্বামী রাজনীতি করতে বাধা দিয়েছেন তবু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবেসে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি রাজনীতিতে আসেন। পরিবারের বড় মেয়ে কোন ভাই নাই। ছোট আরও ২টা বোন। পরিবারের বিপদে আপদে পরিবারের বড় ছেলের মতোই ভূমিকা রাখেন তিনি। তার কথাগুলো উঠে এসেছে তার এক সাক্ষাৎকারে
প্রশ্ন: কেমন আছেন?
বর্ষা: আলহামুদলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রশ্ন: রাজনীতে কেন আসলেন?
বর্ষা: বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে আসিছি। দলকে ভালোবাসি।
প্রশ্ন: রাজনীতিতে আসতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন?
বর্ষা: পারিবারিক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমার স্বামী আমাকে রাজনৈতিক মিছিল, মিটিং এ আসতে দেয়নি। তবু আমি দলকে ভালোবেসে আসিছি।
প্রশ্ন: রাজনীতি করে কি করতে চান?
বর্ষা: জনসেবা করতে চাই। অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চাই, দেশের জন্য কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন: আপনার কি হওয়ার ইচ্ছা ছিল?
বর্ষা: আমার জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছা ছিল। ছোট বেলা থেকে এই স্বপ্ন দেখি এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
প্রশ্ন: রাজনীতির পাশাপাশি পরিবারকে সময় দেন কিভাবে?
বর্ষা: একজন নারী সব পারে। আমার রাজনৈতিক কোন কাজ থাকলে তখন বের হই। তাছাড়া আমি আমার পরিবারকে আমার ব্যস্তার মাঝেই সময় দেই।
প্রশ্ন: ছাত্র রাজনীতি করেছেন?
বর্ষা: ছাত্র রাজনীতি করার সুযোগ হয়নি। তখন আমি বিবাহিত হয়ে সংসারের হাল ধরেছি।
প্রশ্ন: রাজনীতিতে আসার পেছনে আপনাকে সহযোগিতা কে করেছে?
বর্ষা: সবাই সহযোগিতা করেছে, কিন্তু আমার মায়ের সহযোগিতা সবথেকে বেশি।
প্রশ্ন: কত বছর রাজনীতি করছেন?
বর্ষা: ৫ বছর, শেফালি (সভাপতি জেলা যুবমহিলা লীগ পাবনা) আপার সাথেই।
প্রশ্ন: রাজনীতি করে কি পেয়েছেন?
বর্ষা: রাজনীতি করে দুইটিই পেয়েছি। আমি সাধারন মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পেরেছি। অনেক সম্মান পেয়েছি, আবার অনেক কটু কথা শুনছি।
প্রশ্ন: পাবনার জন্য কি করার চিন্তা আছে?
বর্ষা: চিকিৎসা, শিক্ষা, বৃদ্ধাশ্রম করার ইচ্ছা আছে এবং এতিম খানা করতে চাই। তারা যেন শিক্ষা গ্রহন করে মানুষের জন্য কাজ করে।
প্রশ্ন: নারী রাজনীতিতে এখন পাবনার অবস্থান কেমন?
বর্ষা: পাবনার অবস্থান খুব ভালো, আমরা যুবমহিলা লীগ সব সময় জেলার সমস্ত জায়গা কাজ করছি।
প্রশ্ন: মেয়ে মানুষের জন্য কি রাজনীতি জটিল?
বর্ষা: অব্যশই, জটিল। কিন্তু জটিল কে সহজ করে কাজ করি। বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে ভালোবেসে কাজ করি।
প্রশ্ন: কখনো জেল খেটেছেন?
বর্ষা: না, কখনো জেলে যাইনি।
প্রশ্ন: মার খেয়েছেন?
বর্ষা: অনকে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি। মার খেয়েছি ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে আমাকে মারা হয়েছিল। আমি তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। আমাকে কারা মেরেছে কি জন্য মেরেছে আমি এখনো জানি না।
প্রশ্ন: বর্তমান জেলা যুবমহিলা লীগে কোন বিরোধ আছে?
বর্ষা: না কোন বিরোধ নাই, আমরা সবাই একসাথে কাজ করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিসস্ত হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে যেতে চাই।
প্রশ্ন: আপনি কত বছর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন?
বর্ষা: ১৫ বছর।
প্রশ্ন: আপনি কি জেলায় সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা আছে?
বর্ষা: হুম অব্যশই আছে, কেন থাকবে না। আমি সময় হলে পাবনা জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি হিসাবে প্রার্থী হব।
বর্ষা চৌধুরীর সাথে এক আলাপে বলেন সব কথা । তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার আমিনপুর থানায়। ইতোমধ্যে তিনি জেলাজুড়ে পরিচিত এক মুখ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তাকে ত্বাড়িত করে রাজনীতি করতে। জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য তিনি সারা জীবন কাজ করতে চান। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে খুবই ভালোবাসেন। এই নারী নেত্রী।