• সারাদেশ

    নীলফামারীতে সবুজ আশেঁ কৃষকের মুখে সোনালী হাসি

      প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২২ , ২:১৭:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    সঞ্জয় দাস ,নীলফামারী প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও নীলফামারীতে পাটের চাষ বেড়েছে। গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা অধিক জমিতে পাটের চাষ করেছেন।

     

    নীলফামারী জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী আবহাওয়া ও কিছু সংখ্যক মাটি পাট চাষের জন্য উপযোগী। চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে। জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে সদর, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ডোমার উপজেলায় বেশি পাটের আবাদ হয়েছে । বিজেআরআই দেশি পাট -৯, বিজেআরআই তোষাপাট পাট -৭, বিজেআরআই মেস্তা -৩ এবং বিজেআরআই কেনাফ -৪ জাতের পাট চাষ করা হয়েছে।

     

    অভ্যন্তরীণ মার্কেটে পাট থেকে তৈরি পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাট থেকে শুধু ছালা, বস্তা ও চট এগুলোই তৈরি হয় না। পাট থেকে ১৩১ ধরনের পাটপণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে এবং বিদেশে এই পণ্যগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

     

    কচুকাটা গ্রামের আছির উদ্দিন নামের এক কৃষক জানান, পাট চাষের শুরুতে অনাবৃষ্টির কারণে পাট চাষের জন্য জমিতে জো না থাকায় সময়মতো পাটবীজ বপন করতে পারেনি। দেরিতে বীজ বপন করতে হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।

     

    কৃষক মো. আ. হালিম জানান, পাট আবাদ করার পরে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ দিন দিন ডোবা ও জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাট জাগ দেওয়ার জায়গা পাওয়া যায় না। সময়মতো পাট জাগ দিতে না পারায় পাটের আঁশ ভালো পাওয়া যায় না।

     

    নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পাট চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। কৃষক পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এবং পাটের ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছে। আমরা পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।

     

    তিনি বলেন, পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে সর্বক্ষেত্রে পাটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এতে আমাদের পরিবেশ রক্ষা পারে, পাশাপাশি পাটের হারানো ঐতিহ্য, গৌরব ফিরে আসবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ