ছবি: আসমা আফরোজ
আজকের এই দিনে পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল সূর্যের চেয়েও উজ্জ্বল আলো
🕌 নিউজ প্রতিবেদন:
আজকের এই দিনে, ১২ রবিউল আউয়াল, মানবতার ইতিহাসে এক নতুন সূর্যের আবির্ভাব ঘটেছিল। এ পৃথিবী পেয়েছিল এমন এক মহান সত্তাকে, যিনি কেবল আরবের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত ও আলো হয়ে এসেছিলেন। তিনি হলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
খ্রিস্টীয় ৫৭০ সালের এই দিনে মক্কার পবিত্র ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেন মহানবী (সা.)। এটি ছিল "আমুল ফিল" বা হাতির বছর। নবীজির জন্মের আগেই আব্রাহার সেনারা কাবা ধ্বংস করতে এলে আল্লাহ তাঁর কুদরত দিয়ে পাখির ঝাঁক দ্বারা তাদের ধ্বংস করে দেন। ঠিক সেই বরকতময় বছরেই বিশ্ব পেয়েছিলো "রহমাতুল্লিল আলামীন"— সৃষ্টির পরিপূর্ণতা।
ঈদে মিলাদুন্নবী শুধু জন্মোৎসব নয়, বরং মানবতার মুক্তির বার্তা স্মরণ করার দিন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ইরশাদ করেন:
“আমি তো আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” (সূরা আল-আম্বিয়া: ১০৭)
হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন অনাথের আশ্রয়, দরিদ্রের সহায়, অন্ধকারে পথহারা মানবতার আলোকবর্তিকা। তাঁর চরিত্র, সত্যবাদিতা, আমানতদারি, ন্যায়বিচার ও ভালোবাসা পৃথিবীকে এক অমলিন উদাহরণ উপহার দিয়েছে।
আজকের এই দিনে গোটা মুসলিম উম্মাহ আনন্দ-উল্লাসে নবীজির মিলাদ উদযাপন করছে। মসজিদে মসজিদে দোয়া, দরুদ, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে। শুধু আচার-অনুষ্ঠান নয়, বরং প্রকৃত অর্থে তাঁর দেখানো পথ অনুসরণই ঈদে মিলাদুন্নবীর মূল শিক্ষা।
মহানবী (সা.)-এর আবির্ভাবের মাহাত্ম্য আসলে আল্লাহর মহিমারই বহিঃপ্রকাশ। কেননা তিনি ছিলেন "খাতামুন নাবিয়্যিন"—নবুওয়তের শেষ প্রেরিত দূত, যাঁর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর ধর্মকে পূর্ণতা দান করেছেন।
জ্বি ভাই 🌸, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে থাকে। এগুলোকে সুন্দরভাবে সাজালে নিউজে আলাদা গুরুত্ব পায়। নিচে পয়েন্ট আকারে দিলাম, চাইলে এগুলোকে নিউজ আকারেও গুছিয়ে দিতে পারি:
🌿 ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মুসলিম উম্মাহর আয়োজনসমূহ
1. মসজিদ ও মাদ্রাসায় মিলাদ মাহফিল
কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত ও দরুদ শরীফ পাঠ।
মহানবী (সা.)-এর জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা সভা।
2. দরুদ ও সালাতের বিশেষ আমল
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শানে লক্ষ লক্ষ দরুদ পাঠ করা হয়।
3. আলোচনাসভা ও ওয়াজ মাহফিল
আলেম-ওলামারা নবীজির জীবনী, চরিত্র ও ইসলামী ইতিহাস তুলে ধরেন।
4. দোয়া মাহফিল
উম্মাহর ঐক্য, দুনিয়ার শান্তি ও কল্যাণের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়
5. শোভাযাত্রা ও র্যালি
বিভিন্ন শহর ও গ্রামে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
পতাকা, ব্যানার, আলোকসজ্জা দ্বারা রাস্তা সাজানো হয়।
6. গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ
ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও মানবসেবার শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য খাবার ও দান করা হয়।
7. বাসা-বাড়ি, মসজিদ ও রাস্তা আলোকসজ্জা
সবুজ পতাকা, আলো ও ব্যানারে সাজানো হয় পরিবেশ।
8. নবীজির জীবনীভিত্তিক প্রতিযোগিতা
ইসলামী কুইজ, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা, শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন।
এম এ হাসেম সম্পাদিত
প্রকাশক আব্দুল জব্বার
©️ ২০২৩ আলোকিত বার্তা ৭১