• জাতীয়

    শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির নবীন বরণ অনুষ্ঠিত 

      প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৪ , ৯:০৫:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রকাশক:

    পাবনার কাশিনাথপুর শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৮ আগষ্ট শহীদ নুরুল হোসেন কলেজের কনফারেন্স সেন্টারে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

     

    শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরিত কুন্ডুর সভাপতিত্বে কলেজের সকল সহযোগিতায় সকাল ১০ টা থেকে ১২ পযন্ত এ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।

     

    প্রথমে সাইদ সহ সকল শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন তেলোয়াত জাতীয় সংগীত উচ্চারিত হয়ে কনফারেন্স সেন্টার মুখোরিত হয়। এরপর পপি লাইব্রেরির সৌজন্যে সকল শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

     

    বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এর সহযোগিতা ও সকল শিক্ষার্থীদের একাগ্রতায় এ অনুষ্ঠান সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

     

    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরিত কুন্ডু শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। তিনি প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রকৃত মানুষ হয়ে দেশ সমাজের সেবায় ব্রত হওয়ার পরামর্শ দেন।

     

    শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ ১৯৭২ সালে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কলেজের দাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম একজন সদস্য ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের ও শহীদ নূরুল হোসেনের পিতা নগরবাড়ী ঘাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান মিয়া।

     

    শুরু থেকেই কলেজটি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাঠদান করে আসছিল। পরবর্তীতে ডিগ্রি শাখা চালু হলে বি.এ (পাস), বি.এস.এস (পাশ) এবং বি.বি.এস (পাস) কোর্সে পাঠদান শুরু করা হয়।

     

    প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম সদস্য আব্দুল কাদের কলেজটির নাম শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ রাখার জন্য প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবটি সবাই সমর্থন করেন। তখন থেকেই কলেজটির নামকরণ করা হয় শহীদ নূরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ।

     

    এলাকার শিক্ষাবিদ বলছে, এ কলেজটি অনেক প্রাচীন হওয়া সত্বেও এখন সরকারি করন হয়নি। আমরা চাই এই বিদ্যালয়টি সরকারি করনের মাধ্যমে আরো শিক্ষার মান প্রসারিত হোক।

     

    ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তরিত কুন্ডু সম্পর্কে তারা বলেন – এই অধ্যক্ষ আসার পর থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরেছে। কলেজ ড্রেস সহ নানান বিষয়ে নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম চলমান।

     

    উল্লেখ্য একবছর একাদশ শ্রেণিতে তিন বিভাব মিলে ৪০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ