প্রতিনিধি ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ , ৬:৪০:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ইপচেপড়া ভিড় । মেতেছেন সাগরের নোনাজল ও বালিয়াড়িতে। লোকে লোকারণ্য, তীল ধারনের ঠাঁই নেই সাগরতীরে।
১৪ জনুয়ারি (শনিবার) বেলা ১১টায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সাগরতীর জুড়ে লোকে লোকারণ্য। বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে সাগরের নোনাজল সবখানে মানুষ আর মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সের মানুষের ভিড় সাগরতীরে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার/শনিবার , ঢাকা থেকে আসা পরিবার-পরিজন ভোর না হতেই দল বেঁধে সাগরতীরে নামছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা।
রিয়াদ মোঃ শাহাদাত নামের এক পর্যটক বলেন, এটা ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়। তাই পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ছুটে এলাম। বেশ আনন্দ করছি।
আরেক পর্যটক আক্তার হোসেন বলেন, সাগরের টানেই কক্সবাজার ছুটে আসা। বিশেষ করে, যখনই ছুটি পাওয়া যায় তখনই কক্সবাজার ছুটে আসতে মন চাই। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রিয়জনকে সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে কক্সবাজার আসা।
নোনাজলে সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি পর্যটকরা জেড স্কী যোগে দেখছেন নীল জলরাশি, চড়ছেন ঘোড়ার পিঠে। একই সঙ্গে প্রিয়মুহুর্তগুলো বন্দি করছেন ক্যামেরার ফ্রেমে। তাই সৈকতে ব্যস্ততা বেড়েছে জেড স্কি চালক ও ফটোগ্রাফারদের।
সৈকতের জেড স্কী চালক বলেন, লাখো মানুষ সৈকতে ভিড় করেছে। পর্যটকরা কক্সবাজার আসলেই আমরা বেশি খুশি হয়। কারণ, পর্যটকরা জেড স্কীতে উঠে নীল সাগর দেখবে এবং আমাদের ভাল আয় হবে। সেই হিসেবে খুব ভাল ব্যবসা হচ্ছে।
ফটোগ্রাফার সুমন দেওয়ান বলেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিন আয় হয় ১০০০ থেকে ২ হাজার টাকা। কিন্তু শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকাল ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে পর্যটকদের ছবি তুলে ২ হাজার টাকা আয় হয়েছে। আশা করি, সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা আয় করতে পারব।
পর্যটকদের বেশিরভাগই সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। তাদের মধ্যে অনেকে নোনাজলে টিউবে গা ভাসাচ্ছে। তাই সমুদ্রস্নানে তাদের নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি ও সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।
আর পর্যটকদের নিরাপত্তা ও হয়রানি রোধে সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।