• আরো

    তীব্র লোডশেডিং ও তাপদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চায় জবি শিক্ষার্থীরা

      প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২৩ , ৫:০৫:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    রবিউল ইসলাম জবি প্রতিনিধি:

    তীব্র তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা জনসাধারণের। রাতে তীব্র লোডশেডিংয়ের জন্য ঘুম হয় না ঠিকমতো, এর প্রভাব পড়ে পুরো দিনের কর্মব্যস্ততার উপরে। ঝিমুনি ও প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না কেউই। এমন অবস্থা দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের।

     

    দীব্র তাপদাহ ও লোডশেডিং বিবেচনায় দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৮ জুন পর্যন্ত।

     

    পুরান ঢাকার অত্যন্ত ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। হল সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা মেস ভাড়া করে থাকেন। আর্থিক দিক বিবেচনায় এক রুমে গাদাগাদি করে থাকেন অনেক শিক্ষার্থী। এই বদ্ধ পরিবেশে বিদ্যুৎ না থাকলে গরম যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

    অন্যদিকে যে সকল শিক্ষার্থী অনেক দূর থেকে আসেন তারা সারারাত বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। আবার ভোর ৫ টা বা ৬ টায় উঠে ভার্সিটি আসার জন্যে ভার্সিটির বাস ধরতে হয়। এতে শিক্ষার্থীরা মাথা ব্যাথা, ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে হিটস্ট্রোক ও ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ছে।

    যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কক্ষে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা রয়েছে; তবে এর সুফল পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। রাতে ঘুম না হওয়া ও তীব্র মাথাব্যথার কারণে শ্রেণিকক্ষের শীতল পরিবেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ঝিমোতে থাকেন, কেউ বা ঘুমিয়ে যাচ্ছেন। ফলে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ লেকচার তারা শুনতে ও বুঝতে পারছেন না।

     

    শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সানজিদা মাহমুদ মিষ্টি বলেন, গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে সাধারণ জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল মহলের জীবনযাপনে নাজেহাল রকমের অসুস্থতা ও দুর্বলতা পরিলক্ষিত। এমতাবস্থায় ক্যাম্পাস অন্তত কয়েকটা দিন (যদিও গ্রীষ্মকালীন বন্ধ প্রদান করা হয়েছে) আবারো বন্ধ দেওয়া যায় তাহলে সময়োপযোগী ও শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করি।

    ফার্মেসী বিভাগের অপর এক শিক্ষার্থী ইসনাইন জান্নাত ইশা বলেন, বর্তমানে তীব্র গরম তার উপর চলছে লোডশেডিং, কিন্তু তাই বলে তো কোনো কাজ থেমে নেই। এই অসহনীয় গরমের মধ্যেও আমাদের প্রতিনিয়ত ক্লাসের জন্য ক্যাম্পাস আসতে হচ্ছে। এখানে সুপেয় পানিরও তেমন সুব্যবস্থা না থাকায় আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব, সিনিয়র জুনিয়র অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই এই অসহনীয় গরম না কমা পর্যন্ত কিছুদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে সকলের জন্য ভালো হয়।

     

    এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, কোভিডের সময়ে আমাদের শিক্ষার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেছি। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হবে। তবে সিচুয়েশন বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ