প্রতিনিধি ৮ মার্চ ২০২৩ , ৯:২৩:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুল জব্বার নিজস্ব প্রতিবেদক:
কাশিনাথপুর শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কলেজের প্রকাশিত “উচ্ছাসিত সূবর্ণ” নামের ম্যাগাজিনে বঙ্গবন্ধুর ছবির আগে জামাতের নেতার ছবি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছবি দিয়ে বির্তকিত ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বলে স্বীকার করেছে অত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তরিত কুমার কুন্ডু। তরিত কুমার কুন্ডু বলেন এমনটা হওয়ার কথা নয়, আসলে কি কারনে বা কিভাবে হলো এটা আমার বোধগম্য নয়। আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী আয়োজনে সকলের কাজ আলাদাভাবে ভাগ করা ছিলো। আসলে বিজ্ঞাপন দাতারা তাদের বিজ্ঞাপন যেখানে দিতে চায় সেখানে দিতে পারেন। সে কারনে তার ইচ্ছায় প্রথম পাতায় ফিরোজ ব্রিক ও কাশিনাথপুর সাংগঠনিক জামায়াতের আমির মুস্তাফিজুর রহমান এর ছবি বড় করে ছাপা হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধুর ছবির আগে একজন জামাতের আমিরের ছবি দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক এ নিয়ে কাশিনাথপুর আওয়ামী যুবলীগ তথা সচেতন মহল নিন্দা ও প্রশ্ন তুলেছে।
অত্র কলেজের অধ্যক্ষ তরিত কুমার কুন্ডু অকপটে নিজেদের ভুল স্বীকার করেন।ত্রুটি বিচ্যুতি যেটুকু হয়েছে তা অনিচ্ছাকৃত। আমি দু:খ প্রকাশ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান – বিজ্ঞাপনটি এককভাবে কেহ গ্রহন করেননি, উদযাপন কমিটির মিটিং চলাকালে কমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে গৃহীত হয়েছে। তবে তিনি সকল ভুল নিজের বলে স্বাীকার করেন।
শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি ও সাথিঁয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ জানান – আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা অনুষ্ঠানে এসে আমি এটা দেখি। এটা যে যেভাবে করুক না কেন খুব খারাপ হয়েছে । ম্যাগাজিন ছাপানোর আগে আমাকে এটা বলা হয়নি।
এ বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কলেজ কতৃপক্ষের দায়িত্ব থাকা বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুব হোসনে বলেন এটা একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। আসলে ফিরোজ যখন বিজ্ঞানের জন্য কলেজে আসে তখন সরর্ণজন্তী আয়োজনের কমিটির সকলে উপস্থিত ছিলো সকলের সম্মুখে তিনি এ বিজ্ঞাপন দেন। তিনি বাবুল আর্ট থেকে বিজ্ঞাপন ইডিট করে আমাদের দিয়েছে আমরা সেটা ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন হিসেবে দিয়েছি। তবে তার ছবি বঙ্গবন্ধুর ছবির আগে দেওয়া একদম ঠিক হয়নি। আসলে তারাহুড়া করে বগুড়া থেকে এ ম্যাগাজিন ছাপা হয় সেজন্য এমনটা হয়েছে।
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়া সুবর্ণজয়ন্তী সফল হয়েছে বলছে কলেজ কতৃপক্ষ। পাবনা জেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দু’দিন ব্যাপি এ আয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষক – শিক্ষার্থী, সুধীবৃন্দ ও অতিথিবৃন্দের আয়োজন অনন্য মাত্রা পায়।
আয়োজনে ৪ মার্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ডা. মজিবর রহমান ও যুগ্মসচিব আতিয়ুর রহমান।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজের এ বিশেষ আয়োজনে ছিলো বীর মুক্তিযোদ্ধা গনের সম্মাননা স্মারক প্রদান। সমাপনী অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার এর কাছ থেকে মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক গ্রহন করেন শহীদ নুরুল হোসেনের পরিবার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের পরিবার ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাগন।
অতিথিবৃন্দের আলোচনা, প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, নবীন প্রবিন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঢাকা থেকে আগত গুনী শিল্পীদের পদচারণায় মুখরিত হয় সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গন।
সাজানো গোছানো অনুষ্ঠানে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বঙ্গবন্ধুর ছবির আগে জামাতের আমিরের ছবি। এছাড়াও ৩ রা মার্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আগত শিল্পী ঝিলিককে একতরফা আমন্ত্রণ জানিয়ে বির্তকিত হয়েছে।
তবে স্বার্থন্বেষী মহল এ বিষয় নিয়ে তাদের আখের গোছানোর চেষ্টায় আছে। কলেজ সূত্রে যানা যায় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবির আগে জামাতের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজের ছবি বিজ্ঞাপন হিসেবে ছাপা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবির আগে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে শিরোনাম দেওয়া হয়েছে। আর প্রচ্ছেদের ভেতরের পৃষ্ঠার যেটি প্রকাশিত হয়েছে সেটা একটি বিজ্ঞাপন মাত্র। পত্রিকার নীতিমালা অনুযায়ী বিজ্ঞাপন অংশটি কখনও পত্রিকায় প্রকাশিত কোনো বিষয়ের সঙ্গে তুল্য হতে পারে না।