• সারাদেশ

    চাটমোহরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে পরকিয়া প্রেমিক যুগলকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ!

      প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২২ , ৭:৩৬:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    পাবনা সংবাদদাতা : পাবনার চাটমোহরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে পরকিয়া প্রেমিক যুগলকে শিকলে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের করোকোলা গ্রামের আব্দুল খালেকের বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরকীয়া প্রেমিক মো: হেলাল উদ্দিন (২৭) পার্শবর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা (হঠাৎপাড়া) গ্রামের সিরাজুল ইসলামে ছেলে ও এক সন্তানের জনক ও পরকীয়া প্রেমিকা শাপলা খাতুন (২২) চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের করোকোলা গ্রামের সুমন আলীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী। 

    জানা যায়, হেলাল উদ্দিন ও শাপলা খাতুনের মধ্যে প্রায় ৩ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় শাপলা ও হেলাল একে অপরের সাথে দেখা করতো ও একান্তে সময় কাটাতো এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে শাপলা হেলাল কে ডেকে নিয়ে যায় তার ¯^য়ংকক্ষে এমতাবস্থায় প্রতিবেশীরা টের পেয়ে রুমের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় এবং বিষয়টা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তিকে জানান। এরপর প্রেমিক যুগলকে শিকলে বন্দী করে সারারাত চলে অমানবিক নির্যাতন। শনিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তি চোকিদার সঙ্গে করে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। অষ্টমনিষা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান বকুল ও নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান সহোদর বোন হওয়ায় দুইজন মিলিতো হয়ে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত চলে দফায় দফায় বৈঠক।

     

    বৈঠকে শাপলার স্বামী তাকে আর রাখবে না বলে পরিষদ থেকে বের হয়ে মির্জাপুর বাজারে চলে যায় এ সময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে চৌকিদার গিয়ে তাকে আবার ধরে নিয়ে আসে পরিষদে। তখন দুই চেয়ারম্যানি বলে বউ না রাখলে কাবিনের এক লক্ষ টাকা এই মুহূর্তে দিতে হবে না হলে বউকে মেনে নিয়ে বাড়ি চলে যেতে হবে। সুমন একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান এক ল¶ টাকা দেয়ার মত সামর্থ্য নেই তাই শেষমেস বউকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় তার। এবং পরকীয়া প্রেমিক হেলালের বাবার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

     

    ঘটনার বিষয়ে শাপলার স্বামী সুমন আলী বলেন, আমি প্রথমে আমার বউকে নিতে চাইনি পরে এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিতে হয়েছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবোনা।

     

    এ বিষয়ে নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তি বলেন, পরিষদে বিচার করে হেলালের বাবাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের বিচার সালিশ তিনি করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ।

     

    এ বিষয়ে অষ্টমনিষা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান বকুল বলেন, আমি সালিশের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ছিলাম। পরে কি হয়েছে আমি জানি না।

     

    ঘটনার বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: মমতাজ মহল বলেন, আমি খোঁজ খবর নিয়েছি। এ বিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে সমস্যার সমাধান করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ