প্রতিনিধি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩:০৩:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র্যাব।
গত মার্চ ২০২৪ মাসে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নামে বাংলাদেশী জন্ম সনদপত্র তৈরীর ঘটনা বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করে। জন্ম নিবন্ধনের মত স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তির এই ধরনের কার্যক্রম বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় দেশের ডিজিটাল পরিকাঠামোর নিরাপত্তা এবং বেআইনী প্রবেশাধিকারের বিষয়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরী হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমিনপুর থানায় সরকারি ডিজিটাল পরিকাঠামোতে অননুমোদিত প্রবেশ করতঃ ডিজিটাল প্রতারনা এবং হ্যাকিং এর অপরাধে একটি মামলা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং পলাতক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে পাবনা র্যাবের সদস্যরা।
এরই ধারাবাহিকতায় জনাব মোঃ মারুফ হোসেন, বিপিএম, পিপিএম অধিনায়ক, র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের নির্দেশনায় র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা র্যা বের আভিযানিক দল তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, উল্লেখিত জাতীয় পরিচয়পত্রসহ শিক্ষাসনদ জালিয়াতি চক্রের অন্যতম সদস্য নিলয় পারভেজ ইমন(২৬), পিতা- মোঃ আলতাব হোসেন, গ্রাম-আহম্মদপুর,থানা-আমিনপুর, পাবনা জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে পাবনা র্যাবের একটি আভিযানিক দল গত ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখ রাত্রে ‘‘পাবনা জেলার পাবনা সদর থানাধীন এলাকায়’’ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, উক্ত জালিয়াতি চক্রের সদস্য নিলয় পারভেজ ইমন তার নিজ ইউনিয়ন, পাবনা জেলা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন শিক্ষাসনদ এমনকি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর মত স্পর্শকাতর নথিপত্র তৈরী করে দেয়ার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে উক্ত আলোচিত ঘটনার প্রেক্ষিতে রুজু হওয়া মামলা নং-১৮/৪৩ তাং-২৩ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ ধারা-১৭/১৮/২৬/৩২, সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ মূলে পাবনা জেলার আমিনপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
সাধারণ জনসাধারণকে প্রতারকদের থেকে রক্ষার্থে র্যাবের এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভবিষ্যতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে র্যা বের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। আইন শৃংখলা বাহিনীর এ ধরনের তৎপরতা বাংলাদেশকে একটি প্রতারকমুক্ত দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।