প্রতিনিধি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৭:২৩:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
পুলিশ হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে দুই সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)।
বৃহস্পতিবারও (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
কঠোর ‘পর্দাবিধি’ মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে ‘নীতি পুলিশ’। আটকের পর পুলিশি হেফাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৬ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশি নির্যাতনে মাশার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ইরানের মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ বলছে, ডিটেনশন সেন্টারে হঠাৎ হার্ট ফেইলিওর হয়ে আমিনি পড়ে যান। কিন্তু তার পরিবার পুলিশের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, নীতি পুলিশের কর্মকর্তারা তাকে পিটিয়েছিল। হাসপাতালে তিন দিন কোমায় থাকার পর আমিনির মৃত্যু হয়।
২০১৯ সালের পর এটি ইরানের রাস্তায় হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। ২০১৯ সালে পেট্রলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে দেশটিতে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল।
টুইটারে পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন দাবি করে তেহরান, কুম, রাশত, সানন্দাজ, মাসজেদ-ই সুলেইমানসহ অন্য শহরগুলোয় বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভে নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের ‘দাঙ্গাবাজ’ হিসেবে উল্লেখ করে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ বিপুলসংখ্যক ‘দাঙ্গাবাজ’কে গ্রেপ্তার করেছে। তবে গ্রেপ্তার মানুষের সংখ্যা কত, তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি।