প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২২ , ৭:৪৪:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজে মাসুদ রানা ২০০২ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করলেও মাষ্টার্স পাশ করেন ২০০৫ সালে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেয়া কাগজে মাসুদ রানা পাসের সন ২০০০ খ্রিষ্টাব্দ উল্লেখ করেন। নিয়মানুযায়ী অধ্যক্ষ পদে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার বাধ্যবাধ্যকতা থাকলেও প্রভাষক মাসুদ রানা জালজালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৩ সালে অদৃশ্য শক্তিবলে অধ্যক্ষ বনে গেলেও আজও বেতন ভাতা তুলছেন প্রভাষক হিসেবেই। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাৎ,স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন দফতরে অধ্যক্ষ মাসুদ রানা বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য শক্তিবলে বহাল তবিয়তে তিনি রয়েছেন স্বপদে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ অক্টোবর অধ্যক্ষ মাসুদ রানার নানা জালজালিয়াতি ও অনিয়ম উল্লেখ করে তার অপসারনসহ নিয়োগ বাতিল চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক বরাবর শিক্ষক কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন।”
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার বাধ্যবাধকতা থাকলেও মাত্র ৭ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে মো. মাসুদ রানা অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। কিন্তু কাম্য যোগ্যতা না থাকায় তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। শুধু তাই নয়, কলেজটির স্বীকৃতি ও নবায়নসহ নানা কাগজে ঘষামাজা ও স্বাক্ষর জালিয়তি করে ধরা পড়ায় এমপিওভুক্তি ও পদোন্নতিবঞ্চিত হচ্ছেন কলেজটির ৪৩ শিক্ষক-কর্মচারী।”
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে কলেজে যোগদান করেছিলেন মাসুদ রানা। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যক্ষ পদে তিনি যোগদান করেন। তাকে গত বছর ১৭ জুলাই গভর্নিং বডির এক সভায় অধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সভায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভার সব কাগজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা অধিদপ্তরেও পাঠানো হয়।
এদিকে, মাসুদ রানার বিরুদ্ধে প্রভাষক হিসেবে এমপিওভুক্তিতেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে এমএ পাস করলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেয়া কাগজে পাসের সন ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে উল্লেখ করেছেন। এরপর অধ্যক্ষ পদে বসেই তিনি প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন।”
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মাসুদ রানার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ০১৭১৪২৫৬২১৩ ও ০১৮৪৫৩৮৪৭০৭ নাম্বারে
একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।,
অপরদিকে, এ বিষয়ে দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে অধ্যক্ষ পদ অব্যহতি দেয়া হয়। কিন্তু, তিনি আদালতে মামলা করে স্বপদে বহাল রয়েছেন।’