• সারাদেশ

    কাশিনাথপুরে নামজারি অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ১ মহুরিকে কারাদণ্ড

      প্রতিনিধি ১৩ জুলাই ২০২২ , ১০:৩৪:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১৩ জুলাই ২০২২ইং তারিখে পাবনায় সাঁথিয়া উপজেলায় কাশীনাথপুর ভুমি অফিসে, মোছাঃ কহিনুর নেছা স্বামী মোঃ কুতুব আলী সাং ইদ্রাকপুর কাশিনাথপুর সাঁথিয়া পাবনা তাহার নিজ জমি নাম জারির জন্য এক দালালের নিকট ঘুষ বাবদ ( ৭০০০)সাত হাজার প্রদান করেন।

    অনেকদিন জমির নামজারি করে দেওয়ার কথা বলে হয়রানি করে দালাল মোঃ দেলোয়ার মুহুরী (৪২) পিতাঃ মোঃ আমিন হোসেন মাতা মৃত রুবিয়া খাতুন গ্রাম কাশিনাথপুর, থানাঃ উপজেলা সাথিয়া জেলাঃ পাবনা। দালাল এবং গ্রহিতা দুজনেরই একই গ্রামের লোক, তাই বিশ্বাস করে দালাল মোঃ দেলোয়ার মুহুরীকে দুইটি জমির নামজারি করার জন্য মোট ১৪০০০ হাজার লাগবে। ভুক্তভুগী দালাল কে অগ্রিম (৭০০০) সাত হাজার প্রদান করেন । পরবর্তী কাজ শেষ হলে বাকি টাকা দিয়ে দিবে । অনেকদিন হয়ে যাওয়ার পর দালালকে মহিলাটি সন্দেহ করে । ভুক্ত ভুগী সেবা গ্রহীতা মোছাঃ কোহিনুর নেছা সাঁথিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার( ভূমি) মোঃ মনিরুজ্জামান কে বিষয়টি অবগত করেন ৷ বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি ) আমলে নিয়ে থাকে । সাথিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার( ভূম) মনিরুজ্জামান,, দালাল মোঃ দেলোয়ার মুহুরী কে জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি সত্য বলে স্বীকার করে । ১৩/০৭/২০২২ইং মোবাইল কোটের মাধ্যমে দালাল মোঃ দেলোয়ার মুহুরী কে জমির নামজারি এবং ঘুষ নেওয়ার অপরাধে ১৫ দিনের জন্য জেল হাজতে প্রেরণ করে। এর সাথে নগদ ৭০০০ সাত হাজার টাকা দালাল এর কাছে থেকে ফেরত নিয়ে উদ্ধারকৃত টাকা ভুক্ত ভুগী সেবা গ্রহীতা মোছাঃ কহিনুর নেছা কে ফেরত দেওয়া হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা সুবিধা ভোগী ব্যক্তি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। সাঁথিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন জমির খারিজ নামজারি করতে সরকার নির্ধারিত ফ্রী ছাড়া কোনো প্রকার অতিরক্ত অর্থ লেনদেন করবেন না। আপনি যদি খারিজ করার জন্য কোনো দালাল কে টাকা দিয়ে থাকেন তাহলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    পরিত্যক্ত বোতল দিয়ে বাড়ি বানাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের আব্দুল আলিম

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

    কালীগঞ্জে শহীদ ময়েজউদ্দিন অ্যামপিউটি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত 

    সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে পরিবারের সাথে অভিমান করে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ আত্মহত্যা

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    কুমিল্লায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস