• সারাদেশ

    চাটমোহরে পাট জাগ দিতে পুকুর ভাড়া

      প্রতিনিধি ৩০ জুলাই ২০২২ , ১০:০৪:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ কায়সারআহম্মেদ বিশেষ প্রতিনিধিঃ

    পাবনার চাটমোহরে দাম ভালো থাকায় কৃষকরা এবার ব্যাপক হারে পাট চাষে ঝুঁকেছেন। কিন্তু দীর্ঘ অনাবৃষ্টি আর খরায় ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

    বিকল্প উপায় না পেয়ে এবার তারা বাধ্য হয়ে পুকুর ভাড়া নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। প্রতি বিঘা জমির পাট জাগ দিতে তাদের এক থেকে দুই হাজার টাকা বাড়তি খরচ পড়ছে বলে জানা গেছে।

    আবার কোথাও কোথাও বিলে পানি না থাকায় নদীর সামান্য পানির দখল নিয়ে চাষিদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির ঘটনাও ঘটছে বলে জানা গেছে।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় ৮ হাজার ৮ শত ৯০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন কৃষকরা। বর্তমানে এসব জমির পাট কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু নদী-নালা, খাল-বিলে পানি না থাকায় চাষিরা ভাড়া দিয়ে পুকুরে পাট জাগ দিচ্ছেন।

    এ সুযোগে কেউ কেউ পুকুরের মাছ বিক্রি করে দিয়ে পাট জাগের জন্য পুকুর লিজ দিচ্ছেন। এতে চাষিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

    পাটচাষি মোঃ ছবের আলী বলেন,অনাবৃষ্টির কারণে এবার বিলে বা নদীতে পানি নেই। আবার পাট কাটার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু জাগ দেওয়ার পানি না থাকায় পাট কাটতে পারছিলাম না। শেষে উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে পুকুর ভাড়া করে পাট জাগ দিয়েছি।

    পাটচাষি মোঃ রুহুল হোসেন বলেন,আমি চার বিঘা পাট চাষ করছি। প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, পাট বীজ, সার, কীটনাশক দেওয়া এবং আগাছা পরিষ্কার, পাট কাটা, পরিবহণ খরচ, জাগ দেওয়া, ধোয়া ও শুকানোর শ্রমিক খরচ বাবদ ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। আর পুকুর ভাড়া নিয়ে জাগ দিতে খরচ আরও দেড়-দুই হাজার টাকা বেশি পড়ছে। এবার অতিরিক্ত খরার কারণে বিঘাপ্রতি ৭-৮ মণ হারে পাট উৎপাদন হয়েছে।

    পুকুর মালিক মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, আমার তিন বিঘার একটি পুকুরে পাট জাগ দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ দুই হাজার টাকা করে নিলেও আমি প্রতি বিঘা জমির পাট জাগ দিতে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছি। এ পর্যন্ত ১৫ বিঘা জমির পাট জাগ দেওয়া হয়েছে। আরও ১০-১৫ বিঘা জমির পাট জাগ দেওয়া যাবে।

    উপজেলা কৃষি অফিসার এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন,চাটমোহর উপজেলায় ৮ হাজার ৮ শত ৯০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও আবাদ বেশি হচ্ছে অর্থকরী ফসলটির। মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি ভাল। রোগ ও পোকা-মাড়ক দমন ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য আন্ত:পরিচর্যা বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে মাঠ পর্যায় কাজ করছেন উপ-সহকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।এবার উপজেলায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে, এটা প্রাকৃতিক দুযোগ এখানে কারো কোন হাত নেই।
    সংবাদদাতা
    মোঃ কায়সার আহম্মেদ
    ০১৭৩৯৪৫৬৯৫৮

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ