প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৮:৩২:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
রইচ উদ্দিন আহমেদ:
নওগাঁর মান্দায় নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ ওঠায় কাশোঁপাড়া ইউনিয়নের চকউলী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম এবং সভাপতি ইদ্রিস আলী সরদার এর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
এলাকার সচেতন ব্যক্তি মোঃ ইয়াসিন আলী নামে এক ব্যক্তি
উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম ও সভাপতি ইদ্রিস আলী সরদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, অর্থ-আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ করেন।
রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টার সময় জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান গত ৩ সেপ্টেম্বর উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী অঞ্চল বরাবর মোঃ ইয়াসিন আলীর একটি লিখিত অভিযোগ ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তকালে-
অভিযোগকারীসহ এলাকাবাসীর বক্তব্য শুনেন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও বক্তব্য নিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ,গত ২৮ শে মার্চ ২০২৩ ইং দৈনিক করতোয়া পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ৪ জন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। অর্থ লেনদেন এর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটি সভাপতির সঙ্গে ০১. সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেঃ মোঃ সাদেকুল ইসলাম, পিতাঃ আফজাল হোসেন। ০২. কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদেঃ মোঃ মোশারফ হোসেন, পিতাঃ মৃতঃ আজিজুল হক। ০৩. নিরাপত্তা কর্মী পদেঃ মোঃ তারেক হোসেন, পিতাঃ আলাউদ্দিন হোসেন। ০৪. আয়া পদেঃ মোছাঃ নাছিমা খাতুন, পিতাঃ আব্দুর রহমান এর সাথে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা রফাদফা হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার ৮ সেপ্টেম্বর উক্ত চারটি পদে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু অভিযোগ থাকায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ও ডিজি প্রতিনিধি নিয়োগ বন্ধ করে তারা চলে যায়।
তদন্ত বিষয়ে অভিযোগকারী মোঃ ইয়াসিন আলী জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে তিনি তার অভিযোগের বিষয় কথা বলেছেন এবং স্থানীয় সাধারণ জনগণ তাদের মতামত দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তে মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ হবে বলে
আশা করছি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী রুস্তম আলী বলেন, অত্র বিদ্যালয়টি উপজেলার একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষকের নানা রকম অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারনে বিদ্যালয়টির বর্তমানে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন তো অবস্থায় নিয়োগ বাণিজ্য তদন্ত সাপেক্ষে নিয়োগ বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি তদন্ত বিষয়ে জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারে চেয়েছেন। আমরা আমাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, চারটি পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।