• আরো

    কালীগঞ্জে ০৮ বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টা ধর্ষক পলাতক

      প্রতিনিধি ২৯ মে ২০২৩ , ১:০৬:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মোঃ মুক্তাদির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:

     

    গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার মুলগাঁও গ্রাঁমে ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধের লালসার শিকার হয়ে ০৮ বছরের এক শিশু ধর্ষন এর চেষ্টা করে।

     

    শনিবার (২৭ শে মে) দুপুর প্রায় ১-২ টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রান এর ২ নং গেইটের কাছের তামিমা ফ্যাশন হাউজ নামের একটি দোকানে এ ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে।

     

    ধর্ষণের চেষ্টা করা ০৮ বছরের শিশুটি পিতা রকমান (শ্রমিক), এবং মা রত্না (আর এফ এলের শ্রমিক) এর বড় মেয়ে মাহিয়া তানহা।

     

    এঘটনায় ধর্ষক নায়ক বাচ্চু ( চাই বাচ্চু) পালত রয়েছে।

     

    স্থানীয় ভাবে জানা যায় ধর্ষক বাচ্চু কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের শাজাহান হুজুরের বাড়ির পার্শ্বে মধ্য নারগানা গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিন এর ছেলে। সে প্রায়় ৩০ বছর ধরে মুলগাঁও প্রান-আরএফএল গেইট এলাকায় যায়গা ক্রয় করে বাড়ি ও মুদি দোকানদার হিসেবে বসবাস করে আসছে।

     

    তানহার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক বাচ্চু ও ধর্ষণের চেষ্টা হওয়া শিশুটি একই এলাকায় বসবাস করত।

     

    শনিবার দুপুর প্রায় ১-২টার দিকে ওই শিশু মেয়েটি বাচ্চুর দোকানের(তামিমা ফ্যাশন হাউজ) সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মজা খাওয়াবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চু তাকে দোকানে ডেকে নেয়। পরে শাটার নামিয়ে থাই গ্লাস বন্ধ করে শিশু মেয়েটিকে ঘরের মেঝেতে ফেলে হাফ পেন্ট খুলে ধর্ষণ এর চেষ্টা করে এমনটাই বলে তানহা। এসময় শিশু মেয়েটির চাচি রত্না দেকানে হজ্বের ফাকি নিতে আসে, এসে দেখে মাহিয়া তানহার সথে ঝোরাঝুরি করতেছে বাচ্চু। এ সময় রত্না বাচ্চু কে বলে আপনি কি করতেছেন চাচা এসব। সে তো ছোট্ট একটা শিশু। এই কাজ আপনি কিভাবে করতে পারলেন তার সাথে। রত্নার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এই সুযোগে দোকান খালি রেখে বাচ্চু পালিয়ে যায়।

     

    পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

    শিশুটির মা তাকে নিয়ে গাজীপুর হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফেরত আসেন। তানহার এ দুর্ঘটনার খবর শুনে তার দাদা স্ট্রোক করে মারা যান বলে পরিবারের দাবি।

     

    মেয়েটির মা রত্না এবং স্থানীয় লোকজনের দাবি এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য বাচ্চুকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।

     

    বাচ্চুর মেয়ে তামিমা ফ্যাশন হাউজের মালিক জাকিয়া সুলতানা এবং ছেলে এবাদুল্লার সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের মা মারা যাওয়ার পরে তার বাবাকে তারা তিনটি বিয়ে তার বাবার চরিত্রের সমস্যার জন্য তারা সবাই চলে যায়। ঘটনার দিন জাকিয়া তার বাবা বাচ্চুকে দোকানে রেখে দুপুর ১২ টার দিকে বাসায় যায় এবং ০৩ টার দিকে দোকানে আসে এসে জানতে পারে তার বাবা ০৮ বছরের শিশু মেয়েটি তানহার সাথে নর পশুর মত আচরণ করে। তারাও বাবার এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য শাস্তি দাবি করছেন। ঘটনার পর শনিবার বিকাল থেকেই তাদের বাবা বাচ্চু পালাতক রয়েছে।

     

    ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফায়েজুর রহমান বলেন ঘটনা শুনেছি, আমরা বড় মর্মাহত এই ঘটনায়, এখনো কোন অভিযোগ হয়নি, অভিযোগ হলে বাচ্চুকে গ্রেফতার আইনের আওতায় আনা হবে।

     

    বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুক্তাদির হোসেন বলেন বাচ্চুকে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হোক।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের প্রতিহত করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাজার কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    বেড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান; কারাদন্ড ও লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

    ভোরের চেতনার ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধি সম্মেলন- ২০২৩ অনুষ্ঠিত।

    দুর্গাপুরে পুকুর খনন নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪

    রূপগঞ্জে নৌকার জনসভায় লাখো জনতার ঢল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে মুড়াপাড়া কলেজ মাঠ