• আরো

    আমতলীতে তাল নেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা সংঘর্ষ ৫ জনকে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত

      প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৩ , ৭:৪০:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মোঃ ইমরান হোসাইন, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:

     

    বরগুনার আমতলীতে শুক্রবার রাতে গাছের তাল নেয়াকে কেন্দ্র করে হামলা সংঘর্ষে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

     

    জানাগেছে, উপজেলার উত্তর রাওঘা গ্রামের জসিম প্যাদাগংও জামাল প্যাদা গংদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জসিম প্যাদার একটি তালগাছ থেকে পাকা তাল পড়ে। তখন জামাল প্যাদার ছেলে তালটি নিয়ে যাওয়ার সময় জসিম প্যাদার স্ত্রী উমে¥ কলি জান্নাত বাধা দিয়ে তালটি রেখে দেয়।

     

    এঘটনাকে কেন্দ্র করেন রাত ৮ টার দিকে জামাল প্যাদা, ইলিয়াস, মহি উদ্দিন,জসিম প্যাদার ঘরে ঢুকে দেশিয় অস্র দা বটি ও রড দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে জসিম প্যাদা (৩৬). তার স্ত্রী উম্মে কলি জান্নাত (২৯),জসিম প্যাদার ভাই বশির প্যাদা (৩০) বশির প্যাদার স্ত্রী সম্পা বেগম (২৫)কে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।

     

    আহতদের মধ্যে জসিম প্যাদা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৮/৯ ও উম্মে জান্নাত কলির শরীরের ৪/৫ স্থানে কুপিয়ে আহত করেছে। বশির প্যাদা ও সম্পা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে আহতকরে । আহতদের স্থানীয় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন । আহতদের মধ্যে জসিম প্যাদা (৩৬) ও উম্মেকলি জান্নাাতের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাত ১০টার সময় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

     

    অপরদিকে জামাল প্যাদার ছেলে ইলিয়াস দাবী করেন তাদের জমির তালগাছ থেকে তারা তাল নেয়ার সময় জসিম প্যাদার স্ত্রী বাঁধা দেয়।

     

    এঘটনায় জামাল প্যাদা জিজ্ঞাসা করতে গেলে জামাল প্যাদা ও ইলিয়াসকে পিটিয়ে আহত করে জসিম প্যাদা গংরা। রাতেই জামাল প্যাদাকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন।

     

     

    আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানভির শাহরিয়ার জানান, আহত জসিম ও উম্মে জান্নাত কলির শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক কোপ রয়েছে আর জামাল প্যাদার মাথায় আঘাত রয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

     

     

    আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখোয়াত হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ঘটনা শুনেছি । হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখোনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ