প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৫৭:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
সরকার আরিফ ইখতেখার ( বেড়া সংবাদদাতা) :
পাবনা জেলা বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ এর ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য আসমানী খাতুন ও তার পুত্র স্বাধীন (২১) এর বিরুদ্ধে এক তাঁত শ্রমিক সবুজ মোল্লা কে। শুক্রবার ১১ আগস্ট ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত সবুজ মোল্লা নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন এর নতুন বাটিয়াখড়া মহল্লার আব্দুল আউয়াল মোল্লার ছেলে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় সবুজ মোল্লা কে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। শরীরে প্রাপ্ত আঘাতসমূহ গুরুত্বর হওয়ায় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকগণ উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে,সেখানে আইসিইউতে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় সবুজ এর পিতা আব্দুল আউয়াল মোল্লা বেড়া মডেল থানায় মামলা করেন, মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন যে,১১/০৮/২০২৩ তারিখ বিকালে আমার ছেলে ০১। মোঃ সবুজ মোল্লা (২২),পিতাঃ মোঃ আব্দুল আউয়াল মোল্লা,ও আমার নাতি ০২। মোঃ ইস্তাক (১৬), পিতাঃ মোঃ ইসমাইল হোসেন, উভয় সাং- নতুন বাটিয়াখড়া, থানা- বেড়া, জেলা-পাবনাদ্বয় একত্রে নিজ বসত বাড়ীতে ফেরার পথে বেড়া থানাধীন নতুন বাটিয়াখড়া সাকিনস্থ জনৈক মোঃ চাদু (৬৫), পিতাঃ মৃত কাশেম, সাং- নতুন বাটিয়াখড়া, থানা- বেড়া, জেলা- পাবনার মেহগনি বাগানের কাঁচা রাস্তায় পৌঁছিলে তথায় পূর্ব হইত ওত পেতে থাকা আসামী ০১। মোঃ স্বাধীন (২১), পিতাঃ মোঃ আপেল, ০২। মোঃ আপেল (৪৫), পিতাঃ মোঃ আক্কাস, ০৩। মোছাঃ আসমানী খাতুন (৪৩), স্বামীঃ মোঃ আপেল, ০৪। মোঃ রায়হান (২২), পিতাঃ অজ্ঞাত, ০৫ মোঃ শাহিন (২৩), পিতাঃ অজ্ঞাত, ৩৬। মোঃ আক্কাস (৬৮), পিতাঃ অজ্ঞাত, সর্বসাং- মরিচাপাড়া থানা- বেড়া, জেলা- পাবনাগনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধভাবে হাতে হাসুয়া, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, লোহার চেইন ইত্যাদি লইয়া আসিয়া আমার ছেলে সবুজ ও নাতি ইস্তাককে ঘেরাও করিয়া ধরে। ০৩ নং আসামী আসমানীর হুকুমে সকল আসামীগন ক্ষিপ্ত হইয়া তাহাদেরাকে এলোপাথারী, কিল, ঘুষি, লাথি মারিতে শুরু করে। উক্ত ঘটনা দেখিতে পাইয়া আমার নাতি ০৩। মোঃ সজীব (১৮), পিতাঃ মোঃ আব্দুল আউয়াল, ছেলে ০৪। মোঃ শামীম (১৭), পিতাঃ মোঃ ইমদাদুল হক দুলু, উভয় সাং- নতুন বাটিয়াখড়া, থানা- বেড়া, জেলা- পাবনায় আমার ছেলে সবুজ ও নাতি ইস্তাককে উদ্ধারের লক্ষ্যে আগাইয়া আসিলে, ০১ নং আসামী স্বাধীনের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়া আমার ছেলে। সবুজকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে কোপ মারিলে উক্ত কোপ পিঠের বাম পার্শের পেটের অংশে লাগিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম প্রাপ্ত হয়, ০৪ নং আসামী রায়হানের হাতে থাকা চাপাতি দিয়া আমার ছেলে সবুজকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে কোপ মারিয়া পিঠের বাম পাশে গুরুত্বর রক্তাক কাটা জখম করে, ৩ নং আসামী শাহিনের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়া ছেলে সবুজকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারিয়া বাম বগলের নিচে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ০২ নং আসামী আপেল ও ০৩ নং আসামী আসামানি, উল্লেখিত আসামীদ্বয়ের হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার নাতিদ্বয় ইস্তাক, শামীম এবং ছেলে সজীবের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী আঘাত করিয়া গুরুত্বর জখম করে। ০৬ নং আসামী আক্কাসের হাতে লোহার চেইন দিয়া আমার নাতিদ্বয় ইস্তাক, শামীম এবং ছেলে সজীবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী আঘাত করিয়া ছিলাফোলা, কালশিরা ও বেদনাদায়ক জখম করে। আসামীগনের এহেন মারধোর, অন্যায় অত্যাচার সহ্য করিতে না পারিয়া জখমীগন সজোরে ডাক চিৎকার করিলে আশে পাশে উপস্থিত স্বাক্ষী ০১। মোঃ নূর ইসলাম (৫২), পিতাঃ মৃত নওশের আলী, ০২। মোঃ ইলিয়াস (৩৩), পিতাঃ মৃত আইয়ুবু আলী মোল্লা, ০৩। মোঃ মাসুদ (২৫), পিতাঃ মোঃ শাজাহান, সর্বসাং- নতুন বাটিয়াখড়া, থানা- বেড়া,জেলা- পাবনাগনসহ অনান্য লোকজন আগাইয়া আসিলে আসামীগন জখমীদেরকে প্রানে হত্যার হুমকি-ধামকি ও বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে সংবাদ পাইয়া আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া স্বাক্ষী ও অনান্য লোকজনের সহযোগীতায় জখমীগনকে গুরুত্বর জখমী অবস্থায় উদ্ধার করিয়া চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেড়া, পাবনায় নিয়ে যাই এবং তথায় ভর্তি করি। আমার ছেলে সবুজের শরীরে প্রাপ্ত আঘাতসমূহ গুরুত্বর হওয়ায় এবং তাহার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ায় বেড়া হাসপাতালের চিকিৎসকগন উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে আমার ছেলে সবুজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,ঢাকায় ভর্তি থাকিয়া চিকিৎসা সেবা গ্রহন করিতেছে এবং তাহার শারীরিক অবস্থা আশংখাজনক। সবুজের মা বলেন,সকালে স্বাধীন তার নিজের চাচা ও দাদার সাথে জামেলা করছে স্বাধীন এর মা আসমানী আমার ছেলে সহ কয়েক জন কে ডেকে নিয়ে যায়। এজন্য স্বাধীন এর রাগ হয়েছে। পরে বিকেলে বাড়ি আসার সময় এমন করে মারছে। আমার ছেলের কোনো দোষ নাই যারা আমার ছেলে কে এমন করে মারছে আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই। এ বিষয় সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য আসমানী খাতুন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে আসামীগন পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ হাদিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে,তদন্ত চলছে। এর সাথে যারা জরিত আছে অতি দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ পযন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।