• সারাদেশ

    ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হক

      প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫:০০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    এনামুল হক ঃ- আলোকিত বার্তা ৭১,স্টাফ রিপোর্টার। 

     

    নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে নেওয়া হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক কে।

     

    আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নেওয়া হয় তাকে।

     

    মামলার তদন্তকর্মকর্তা ও ডিএনএ ডাক্তারকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি রয়েছে আজ। তারা হলেন মামলার তদন্তকর্মকর্তা শফিকুল ও ডিএনএ ডাক্তার রবিউল।

     

    দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

     

    মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সবশেষ ৮ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। সেদিন রয়েল রিসোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার জাকির হোসেন, ও সাংবাদিক নুর নবী জনি নামে দুইজন সাক্ষী দিয়েছিলেন। এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আজ মামুনুল হকের বিপরীতে মামলার তদন্তকর্মকর্তা ও ডিএনএ ডাক্তারের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সমন দেওয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

     

    এর সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পিপি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।

     

    নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে মামুনুল হককে। সাক্ষী শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।

     

    ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

     

    ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

     

    ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। এরপর সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুল হককে। পরে এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন ঝর্ণা। তবে ঝর্ণাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন মামুনুল হক।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ