প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:৪৭:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
এনামুল হক স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ে নুর ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তি পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর স্থানীয়রা পুলিশকে ২ ঘন্টা আটকে রাখে। পরবর্তীতে সোনারগাঁও থানার ওসি ও সার্কেল এ এসপি অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে গিয়ে আটককৃত এএসআই ইলিয়াস সহ তার ফোর্সকে উদ্ধার করে। নিহত নুর ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর এলাকার মৃত ফালু মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বুরুন্দী এলাকায়।
নিহতের পরিবারের ছোট মেয়ে মিথিলা আক্তার জানাজ, তার বাবা একজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিন বছর আগে তার বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি করানো হয় এরপর নুর ইসলাম শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল এবং হার্টে রিং পড়ানো ছিল। তাদের কোন ভাই না থাকায় পাঁচ বোন মিলেই তাদের বাবা-মায়ের সংসার চালায়।
মিথিলা আরো জানায় গতকাল তাদের বাসায় তালতলা ফাঁড়ির পুলিশ এএসআই ইলিয়াস ও তার সাথের ফোর্সসহ কয়েকজন সাদা পোশাকে তাদের ঘরে প্রবেশ করে এবং তার বাবাকে হাতকড়া পড়িয়ে একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়, পরে তার পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে পুলিশ। পরে তার পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করায় চলমান নাশকতার মামলাসহ তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে পুলিশকে তারা ৫০ হাজার টাকা দিলেও তারা আরও টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে পুলিশের এ এসআই ইলিয়াস, সাথে থাকা অন্য পুলিশ সদস্য ও পুলিশ সোর্স তাকে শারীরিকভাবে কিল ঘুসি মেরে নির্যাতন করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম জানান, জামপুর এলাকায় নুর ইসলাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরার জন্য তার বাসায় অভিযান চালায় তালতলা এ এসআই ইলিয়াস, কনষ্টেবল কালামসহ ৩ জন যায় এবং তাকে আটক করে। পরবর্তীতে আসামি অসুস্থ জানতে পেরে তাকে ছেড়ে দিয়ে পুলিশ চলে যায়। এরপর ওই আসামির মৃত্যুর খবর পেয়ে তারা ওই বাড়িতে গেলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোকজন পুলিশকে জড়িয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে। পরে আমি সার্কেল এ এসপি সহ পরিবারের সদস্যদেরকে বলি, আপনারা যেটা ভালো মনে করবেন সেটাই করা হবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) বিল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।