প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১:১৯:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুল জব্বার নিজস্ব প্রতিনিধি:
পাবনায় বেগুন এর জন্য বিখ্যাত বেড়া-সাঁথিয়া উপজেলা। এ উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও বৃহৎ পরিসরে চাষ হয়েছে বেগুন। কিন্তু বেগুনের দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষক। গত বছরে রমজান মাসে ভালো দাম পাওয়ায় একবছর ও অধিক হারে চাষ করা হয় বেগুন।
বেড়া উপজেলার চাকলা গ্রামের কৃষক আব্দুল মুক্তাদির যানান গত বছর ২ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছিলাম। গত বছর ২ বিঘা জমি থেকে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছিল। সেই লাভের কথা চিন্তা করে এ বছরে ৫ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। কিন্তু এ বছরে কীটনাশক খরচ উঠছে না। মন মাত্র ১০০ টাকা। সেজন্য বেগুন উঠাই না জমিতে পচছে তা, ১০০ টাকা মন বেগুন বিক্রি করলে বেগুন তোলা খরচ ওঠেনা। সেজন্য বেগুন উঠানো বাদ দিয়ে দিয়েছি।
গত বছরে রমজান মাসে প্রায় ৩৫-৪০ টাকা কেজি বেগুন বিক্রি করা হয়েছিল। কিন্তু এই রমজানের নিম্নদামে হতাশ চাষিরা।তাইতো হতাশ হয়ে বেগুন তুলছে না। রমজানের প্রথম দিনেও যেখানে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা মন।
একই অবস্থা অন্য সবজি লাউয়ের। দাম কম হওয়ার গোখাদ্য হিসেবে চালানো হচ্ছে লাউ। বেড়া সানিলা গ্রামের বাসিন্দা মোখলেসুর রহমান জানান রমজানের আগেও যেখানে লাউ প্রতি পিচ ৪০-৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। সেখানে এখন ২ টা লাউ ১০-১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সেজন্য গরুর খাদ্য হিসেবে লাউ ব্যবহার করছি। এমন মন্দা দামে অখুশি তারা।
লাউয়ের অবস্থাও অনেকটা একই রকমের। কৃষকরা হাটে লাউ নিয়ে এসে প্রতিটি তিন থেকে চার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবহণ খরচই উঠছে না। এছাড়া ৫ থেকে ৬ টাকা কেজি করলা, ২০ টাকা কেজি টমেটো, ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি পটোল, ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। এই দামে সবজি বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠছে না।
সাঁথিয়ার করমজা চতুরহাট ও কাশিনাথপুর হাট ঘুরে দেখা যায়, লাউ, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি প্রচুর উঠেছে। এসব সবজির ক্রেতা খুব কম। সবজি বেচাকেনা না হওয়ায় বেশির ভাগ কৃষকের মুখ ভার হয়ে আছে পাইকাররা কম দাম বলছে।
চতুরহাটে দুই বস্তা বেগুন নিয়ে এসেছিলেন সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামের শামসুল প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘হাটে নিয়ে আসতে দুই বস্তা বেগুনের ভ্যান ভাড়া লাগছে ১২০ টাকা। এর ওপর আবার যাওয়ার খরচও আছে। হাটে দুই বস্তা বেগুনের দাম উঠেছে মাত্র ১৫০ টাকা। এই দামে বেগুন বিক্রি করে কোনো রকমে যাওয়া-আসার খরচ শুধু উঠবে। কি করবো, কিচ্ছু করার নাই, দেখারও কেউ নাই।’
বেড়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক ও মশিউর রহমান জানান, ‘সবজির চাহিদা একেবারেই পড়ে গেছে। কৃষকেরা হাটে সবজি এনে দাম না পাওয়ায় হা-হুতাশ করছেন। আমরাই বা কি করবো বলেন। এসব সবজি রোযার মধ্যে মানুষ খুচরা বাজারে কিনছে কম। বিক্রি তেমন হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে কম দামে কিনতে হয়।’
সাঁথিয়ার করমজা চতুরহাট ও কাশিনাথপুর হাট ঘুরে দেখা যায়, লাউ, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি প্রচুর উঠেছে। এসব সবজির ক্রেতা খুব কম। সবজি বেচাকেনা না হওয়ায় বেশির ভাগ কৃষকের মুখ ভার হয়ে আছে পাইকাররা কম দাম বলছে।
চতুরহাটে দুই বস্তা বেগুন নিয়ে এসেছিলেন সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামের শামসুল প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘হাটে নিয়ে আসতে দুই বস্তা বেগুনের ভ্যান ভাড়া লাগছে ১২০ টাকা। এর ওপর আবার যাওয়ার খরচও আছে। হাটে দুই বস্তা বেগুনের দাম উঠেছে মাত্র ১৫০ টাকা। এই দামে বেগুন বিক্রি করে কোনো রকমে যাওয়া-আসার খরচ শুধু উঠবে। কি করবো, কিচ্ছু করার নাই, দেখারও কেউ নাই।’
বেড়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক ও মশিউর রহমান জানান, ‘সবজির চাহিদা একেবারেই পড়ে গেছে। কৃষকেরা হাটে সবজি এনে দাম না পাওয়ায় হা-হুতাশ করছেন। আমরাই বা কি করবো বলেন। এসব সবজি রোযার মধ্যে মানুষ খুচরা বাজারে কিনছে কম। বিক্রি তেমন হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে কম দামে কিনতে হয়।’
সাঁথিয়ায় কাশিনাথপুর বরাট গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার জানান গত বছর ২ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছিলাম। ভালো লাভ হয়েছিল, কিন্তু এ বছর তমন করতে পারছিনা। বেগুন এর দামে হতাশ আমরা।দাম কম হওয়ায় বেগুন তোলা বাদ দিয়েছি, জমিতেই নষ্ট হচ্ছে বেগুন। এমন চলতে থাকলে কীটনাশক, শ্রমিক খরচ উঠবেনাা।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘একদিকে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে সবজির, অন্যদিকে রোজার কারণে মানুষের চাহিদা কম। তার ওপর সব ধরনের সবজি মানুষ একসঙ্গে খেতেও চাচ্ছেন না। এ কারণে সবজির দাম কমেছে। তবে ঈদের পর সবজির দাম আবার বাড়ার সম্ভাবনা আছে।