• সারাদেশ

    নওগাঁয় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ

      প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২৪ , ৭:৫৫:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    নওগাঁ প্রতিনিধি

     

     

    নওগাঁয় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

     

    মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁ শহরের দয়ালের মোড়ে অবস্থিত চকএনায়েত উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

     

     

    বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার সুযোগ করে দেয়ার কথা বলেও হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথেও বাজে আচরণ করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

     

    শিক্ষার্থীরা জানায়,প্রধান শিক্ষক মেয়েদের কমনরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে পাশাপাশি ছেলেদের টয়লেটেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে।

     

    সোমা নামের এক শিক্ষার্থী জানায়, মেয়েদের কমনরুমে প্রধান শিক্ষক ক্যামেরা লাগিয়ে রেখে সেটা তার রুমে বসে পর্যবেক্ষণ করে কিছু বললে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে।আমাদের কোনো প্রাইভেসি নেই এক বিদ্যালয়ে তাই অতি শীঘ্রই তার পদত্যাগ চাই আমরা।

     

    ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জিয়ারুল ইসলাম বলেন,বিদ্যালয়ে আমাদের প্রধান শিক্ষক সব সময় নৌকার ব্যাচ পড়ে থাকতেন আর আমাদের সবার সাথে বাজে আচরণ করতেন এমনকি আমাদের টয়লেটে ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে। বিদ্যালয়ে আমাদের কোনো স্বাধীনতা নেই এজন্য সেখানে আসতেই মন চায় না। সব সময় আমাদের সাথে বাজে আচরণ করা হতো।

     

    প্রাক্তন শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমার সার্টিফিকেটে নাম ভুল হবার কারনে ১৮ হাজার টাকা চেয়েছিল সে। অর্থলোভী এই প্রধান শিক্ষকের দ্রুত পদত্যাগ চাই।

     

    চকএনায়েত উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, এনামুল হক বলেন, ছেলেদের টয়লেটে ক্যামেরা লাগানো এটা খুবই অন্যায় হয়েছে।

     

     

    সহকারী শিক্ষক মোছা: আক্তার জাহান, বলেন যখন থেকে মেয়েদের কমনরুমে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে একজন মেয়ে হিসেবে আমিও প্রতিবাদ করেছি এবং দ্রুত সেখান থেকে ক্যামেরা অপসারন করতে বলি কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা করেনি। মেয়েদের কমনরুমে কেন ক্যামেরা থাকবে! এটা সত্যিই অন্যায়। পড়ে তোপের মুখে কিছুদিন আগে সেখান থেকে সরিয়েছে।

     

     

    এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি এছাড়া তার মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ