প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৫ , ১০:২৪:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য মতিউর রহমান নিজামিকে শহীদ হতে হয়েছে ; নিজামি পুত্র নাজিবুর রহমান মোমেন
আব্দুল জব্বার প্রকাশক ও মিজানুর রহমান কাজল:
ইসলাম দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য মতিউর রহমান নিজামিকে শহীদ হতে হয়েছে ; নিজামি পুত্র নাজিবুর রহমান মোমেন এ মন্তব্য করেন। আজ ১৪ মার্চ বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কাশিনাথপুর ইউনিয়ন কর্তৃক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ ইসলাম শাসনতন্ত্র নীতি নৈতিকতায় চলবে। আমার পিতাকে যার অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচার এই রক্তমাখা স্বাধীন দেশে হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আগামী নির্বাচনে ইসলামের শাসন কায়েমে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী দলের সাথে থেকে আল্লাহ তায়ালা দিকনির্দেশনা মোতাবেক চলার জন্য প্রতিটি মানুষকে সজাগ করেন।
কাশিনাথপুর জামায়েত এর আমির জনাব বাকি বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রহিম, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৬৮ পাবনা ১ বেড়া-সাঁথিয়া আংশিক জামায়াতে মনোনিত প্রার্থী ব্যারিস্টার ড. নাজিবুর রহমান মোমেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোখলেছুর রহমান, আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজ,অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম রাজা।
রহমত বরকত মাগফিরাত এর মাস রমজান সম্পর্কে ব্যারিস্টার ড. নাজিবুর রহমান মোমেন বলেন – রহমত বরকত ও মাগফেরাতের মাস রমযান। এই মাস তাই সবার কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাই চায় কীভাবে এ মাস থেকে বেশি বেশি উপকৃত হওয়া যায়। সবাই আন্তরিকভাবে কামনা করে নিজেকে সকল প্রকার পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত করে পবিত্র একটি জীবন শুরু করতে।
হিজরী পঞ্জিকার বারোটি মাসের মধ্যে শুধুমাত্র একটি মাসের নামই পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে আর সে মাসটি হলো রমযান। যা এ মাসটির অসামান্য মর্যাদা পরিচয় বহন করে।
ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বিধানের একটি হলো রোযা। তবে এই বিধানটি কেবল আমাদের জন্যেই নয় বরং আমাদের পূর্ববর্তী নবী রাসূলগণের উম্মাতদের জন্যেও অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হিসেবে বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে বলেছেন।
পরকালে যে তিনি কী পুরস্কার দেবেন তার কিছুটা ইঙ্গিত নবী কারিম (সা.) আমাদের দিয়েছেন। সে থেকে রোযাদারগণ নিশ্চয়ই পরিতৃপ্ত হবার আনন্দ পাবেন। রাসূলে খোদা বলেছেন,‘রমযান এমন একটি মাস যে মাসে আল্লাহ তোমাদের জন্যে রোযা রাখাকে ফরজ করে দিয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় রোযা রাখবে,তার জন্যে রোযার সেই দিনটি হবে এমন যেন সবেমাত্র সে মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে,অর্থাৎ রোযাদার তার সকল গুণাহ থেকে মুক্তি পেয়ে নিষ্পাপ শিশুটির মতো হয়ে যাবে।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) পবিত্র রমজানের ফজিলত,গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন,পবিত্র রমজান মাস দয়া,কল্যাণ ও ক্ষমার মাস ৷ এ মাস মহান আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ মাস ৷ এ মাসের দিনগুলো সবচেয়ে সেরা দিন,এর রাতগুলো শ্রেষ্ঠ রাত এবং এর প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান ৷রহমত বরকত ও মাগফিরাতের মাস তথা পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর দস্তরখান আমাদের জন্যে উন্মুক্ত ৷ তিনি তোমাদেরকে এ মাসে সম্মানিত করেছেন। এ মাসে তোমাদের প্রতিটি নিঃশ্বাস মহান আল্লাহর গুণগান বা জিকিরের সমতুল্য;এ মাসে তোমাদের ঘুম প্রার্থনার সমতুল্য,এ মাসে তোমাদের সৎকাজ এবং প্রার্থনা বা দোয়াগুলো কবুল করা হবে ৷ তাই মহান আল্লাহর কাছে আন্তরিক ও পবিত্র চিত্তে প্রার্থনা করো যে,তিনি যেন তোমাদেরকে রোজা রাখার এবং কোরআন তেলাওয়াতের তৌফিক দান করেন ৷গুনাহর জন্যে অনুতপ্ত হও ও তওবা কর এবং নামাজের সময় মোনাজাতের জন্যে হাত উপরে তোলো,কারণ নামাজের সময় দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়,এ সময় মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান,এ সময় কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইলে তিনি তা দান করেন,কেউ তাঁকে ডাকলে তিনি জবাব দেন,কেউ কাকুতি-মিনতি করলে তার কাকুতি মিনতি তিনি গ্রহণ।
দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে,আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর যেন এ দরজাগুলো তোমাদের জন্যে বন্ধ হয়ে না যায়। এই মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয়েছে,তাই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো যেন এই দরজাগুলো কখনও তোমাদের জন্যে খুলে দেয়া না হয়৷ শয়তানগুলোকে এ মাসে হাতে পায়ে শিকল পরিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে,আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো সেগুলো যেন তোমাদের ওপর কর্তৃত্ব করতে না পারে।
রমজান মাস সম্পর্কে নবী করিম (সা.)এর এই ভাষণের এক পর্যায়ে আমিরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.) বললেন,হে আল্লাহর রাসূল! এ মাসের শ্রেষ্ঠ আমল কি?
রাসূল (সা.) বললেন,হে আবুল হাসান! এ মাসের শ্রেষ্ঠ কাজ বা আমল হলো নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা।
উল্লেখ্য পাঁচ হাজার রোজাদার ব্যক্তির আজ ইফতার করানো হয়।