প্রতিনিধি ২২ আগস্ট ২০২২ , ১:৩৮:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আকবর বিটা নামক স্থানে দুই পক্ষের জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষে মহিন মীর মারা গেছেন। একটু ঘটনায় তার মা ভাই সহ আহত হয়েছেন ৩ জন মহিন মীরের বাবার নাম, হাবিবুল্লাহ মীর। মহিন মীরের দূর সম্পর্কের চাচা
মোঃ শামছল মীরের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল, বিষয়টি নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে একাধিকবার নিষ্পত্তির চেষ্টা চলে আসছিল কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি,
বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী, সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে ঘটে,গত ২১ আগস্ট রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায়, বিরোধপূর্ণ জমিতে অভিযুক্ত শামসুল মীর গাছের চারা রোপণ করিতে থাকিলে নিহত মহিন উপস্থিত হয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে কেন গাছের চারা রোপন করিতেছেন জিজ্ঞেস করিলে,এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামসুল হক মীর সহ ঘটনাস্থলে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা ইউসুফ, মোর্শেদ মীর, নুরুদ্দিন মীর,নুরনবী মীর, মোরসেদা, হিরন,,কালু মাঝী, আমির হোসেন সহ অনেকে বাঁশের লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি পিঠে ও মাথায় আঘাত করতে থাকে, ঘটনা শুনে,মহিনের মা এবং দুই ভাই ঘটনাস্থল অদুরে তাদের বসত বাড়ী থেকে দৌড়ে এসে মারামারি ঠেকানোর চেষ্টা করলে শামসুল হক মীর এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাদেরকেও ব্যাপক মারধর করেন বলে জানান,আশেপাশের উপস্থিত লোকজন, এ বিষয় ভিকটিম সাংবাদিকদের জানান তারা, অভিযুক্ত সামসুল হক সহ ঘটনায় জড়িত দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন, এ বিষয়ে অভিযুক্ত শামসুল হক সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের সাথে একাদিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি
উক্ত ঘটনায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে গতকাল রাত ২টার দিকে মারা যায় মহিন
তবে, তার পরিবার বলছে প্রতিপক্ষের আঘাতেই মহিনের মিত্যু হয়েছে। এসময় এসব কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মহিনের স্বজনরা।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি শাহিন ফকির বিপিএম বলেন, মারামারি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, আমরা আসামি জড়িতদের শাস্তি দাবি গ্রেফতার করার তৎপরতায় আছি।
কিভাবে মৃত্যু হয়েছে? এমন প্রশ্নে, বোরহানউদ্দিন থানার ওসি বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে। সেখান থেকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মহিন মারা যায়
তারপরও পুলিশ বসে নেই সঠিক তথ্য উদঘাটনে তৎপর আছে।