• সারাদেশ

    সৈয়দপুরে সুভা’র ক্রিকেট খেলায় ইউএনও একাদশকে হারিয়ে এসিল্যান্ড একাদশ জয়ী

      প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৭:০৩:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নীলফামারী প্রতিনিধি:

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিকেট খেলায় ইউএনও একাদশকে (লাল দল) ৫ রানে হারিয়ে জয়লাভ করেছে এসিল্যান্ড একাদশ (সবুজ দল)। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সৈয়দপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ওই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

     

    “মাদককে না বলি, খেলাকে হ্যা বলি” শ্লোগান কে প্রতিপাদ্য করে সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলান্টিয়ার্স এসোসিয়েশন (সুভা) প্রীতি টূর্নামেন্ট আয়োজন করে। ওই খেলায় টসে জিতে প্রথমে এসিল্যান্ড একাদশ ব্যাট হাতে নির্ধারিত ১২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে। জবাবে ইউএনও একাদশ ১২ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান করে।

     

    খেলায় উভয় দলে একজন মেয়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সুভা’র স্বেচ্ছাসেবকরা অংশগ্রহন করেন। ইউএনও একাদশ এর নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হুসাইন ও এসিল্যান্ড একাদশ দলের নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম।

     

    প্রথমে ব্যাটে নেমে এসিল্যান্ড একাদশের শাহবাজ, মঞ্জুর, হাফিজ, রাজ্জাকের চার ছক্কায় ১২৩ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইউএনও একাদশ প্রথমে মন্থর গতির কারনে চাপে পড়লেও মধ্যভাগে রাসেল ও বাদশার নিয়মিত ছক্কায় ম্যাচে ফিরে লাল দল। শেষ ৬ বলে ১৪ রানের প্রয়োজন নিয়ে শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে লাল দলকে ম্যাচে ফেরান বাদশা। রোমাঞ্চকর ওই ওভারেই মঞ্জুরের জোড়া আঘাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লাল দল। টান টান উত্তেজনায় শেষে ৫ রানে জয়ী হয় এসিল্যান্ড একাদশ তথা সবুজ দল। খেলায় সর্বচ্চ ৫৭ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন চ্যাম্পিয়ন দলের মঞ্জুর আলম তন্ময়।

     

    খেলায় অ্যাম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলার অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মো. নাসিম ও আন্নু। স্কোরার ও ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খালিদ আজম ও মোমিন।

     

    খেলা পরিচালনা কমিটির সুলতান, আলমগীর, রাকিব, তারিকুলসহ অন্যান্য সদস্যরা জানান, মূলত তরুনদের মাদক থেকে ফেরাতে এবং খেলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে প্রতি বছর সুভা এরুপ খেলার আয়োজন করে আসছে। সুভার সদস্য সংগঠনের সদস্যরা দু’গ্রুপে ভাগ হয়ে ওই খেলায় অংশগ্রহন করেন। খেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করে ব্রান্ড হাউস ও খোকন ট্রেডিং।

     

    পরে বিজয়ী এসিল্যান্ড একাদশের হাতে বিজয়ী ট্রফি তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হুসাইন ও এসিল্যান্ড মো. আমিনুল ইসলাম, সুভার উপদেষ্টা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকি, অধ্যক্ষ্য শাবাহাত আলী সাব্বু ও প্রভাষক শিউলী সুলতানা

     

    ইউএনও শামীম হুসাইন বলেন, মাদক থেকে বিরত রাখতে ও তরুণদের খেলায় আগ্রহী করে তুলতে এরুপ খেলার আয়োজনকে আমরা সব সময় পৃষ্ঠপোষকতা করি। ভবিষ্যতেও করে যাবো।

    আরও খবর

    রূপগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ

    রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্দেশনায় অসহায় সুবিধা বঞ্চিত এক হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ 

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ৭ দফা দাবিতে গণ অনশন কর্মসূচি পালিত

    দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে চান সাবেক ছাত্রনেতা প্রভাষক আমিনুল হক (টুলু

    হারানো ফোন তিন মাসের মধ্যে ফিরে পেলেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ শাহ।

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ