প্রতিনিধি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০:০৪:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃমুক্তাদির হোসেন কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় সিএনজি চালিত অটোর রিক্সার সাজেদা নামের (৬০) যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় অটোরিকশা চালককে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুইটার দিকে কালীগঞ্জ বাইপাস সড়কের বালীগাঁও গ্রামে থাকা গ্লাস ফ্যাক্টরী সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে,ভিক্ষা করতে আসা নারীর নাম সাজেদা বেগম,তার বাড়ি গোড়াশাল, আহত অটোরিকশা চালক জাকির হোসেন (৩৪) বক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুইটার দিকে কালীগঞ্জ বাইপাস সড়কে সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশা কালীগঞ্জ পৌরসভা এলাকার বালীগাঁও গ্লাস ফ্যাক্টরী অতিক্রম করার সময় পিছন দিক থেকে আসা ঘোড়াশালগামী একটি কাভার্ড ভ্যান অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় অট্রো রিক্সা থাকা সাজেদা নামের নারী যাত্রী ও চালক গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। চালক জাকির হোসেনের অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউনুস কবির বলেন, স্থানীয়রা দুপুর ০২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়। অন্যজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা দু’জনকে হাঁসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজেদা নামের ভিক্ষুকের মৃত্যু হয়েছে । এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালীগঞ্জে ফ্ল্যাট বাসায় থেকে অগ্নিদগ্ধ এক ব্যক্তির (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে ঘটনার পর থেকে কালীগঞ্জ থানার ওসি এবং উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জের ব্যবহৃত সরকারি মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তাঁদের পাওয়া যাচ্ছেনা।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নাগরী ইউনিয়নের মাইজ পানজোড়া এলাকায় থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাগরী ইউনিয়নের মাইজ পানজোড়া গ্রামের আরমান কাজীর মালিকানাধীন ফ্ল্যাট বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো খ্রিস্টান ধর্মের এক নারী ও পুরুষ। তাদের বয়স ৫০ থেকে ৬০ এর মধ্যে। তারা ভাই-বোন এমন পরিচয়ে আনুমানিক ৫-৬ মাস আগে ওই বাড়ির তৃতীয় তলার উত্তর পাশের তিন কক্ষ বিশিষ্ট ফ্ল্যাট মাসিক ৬ হাজার টাকায় ভাড়া নেন। এরপর থেকে তারা বসবাস করে আসছে। তারা বেশিরভাগ সময় বাসাতেই অবস্থান করতো। বুধবার দুপুরে আরমান কাজী স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমানকে ফোন করে জানান তার বাসার এক ভাড়াটিয়া দুই দিন যাবত কক্ষের দরজা খুলছে না। পরবর্তীতে উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়া হয়। এরপর দুপুর ৩টার দিকে ইউপি সদস্যের উপস্থিতে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা খুলে অগ্নিদগ্ধ লাশ দেখতে পায় পুলিশ। লাশটি কক্ষের মাঝামাঝি অবস্থানে ফ্লোরে পড়েছিল। এর পাশেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। ওই সিলিন্ডার থেকে চুলায় থাকা সংযোগ লাইনের পাইপ আগুনে পোড়া ছিল। এরপর উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মধুসূদন পান্ডে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সুরতাহল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
, ওই কক্ষের ভেতরে কোন আসবাবপত্র বা অন্য কোন বস্তু ছিলো না। পাশে থাকা অন্য দুই কক্ষেও উল্লেখযোগ্য কোন আসবাবপত্র নেই। ওই ফ্ল্যাট বসবাস করা নারী ঘটনার পর পুলিশের কাছে নিহতের কোন পরিচয় জানাতে পারেনি। তার নিজের পরিচয়ও কৌশলে এড়িয়ে গেছে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারী এবং বাড়ির মালিক আরমান কাজীকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
আরমান কাজীর পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আরমান কাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি থানায় রয়েছে। এখনো পর্যন্ত নিহত ব্যক্তি এবং ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ”ঘটনার পর নিহত ব্যক্তি এবং বসবাস করা ওই নারীর কোন পরিচয় জানাতে পারেনি বাড়ির মালিক। তবে আরমান কাজী জানায় তারা ভাই-বোন পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছে। কিন্তু ওই নারী বিষয়টি অস্বীকার করে বলে নিহত ব্যক্তিকে তিনি চেনেন না। তারা এক সঙ্গে নয় আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।”
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ”নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।