• সারাদেশ

    সাপ থেকে মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ

      প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৩:৩৭:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মানুষকে সাপের বিপদ থেকে বাঁচাতে এবং সাপকে মানুষের বিপদ থেকে বাঁচাতে কাজ করে যাচ্ছে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ। যে সকল সাপ বা বন্য প্রাণী মানুষের বাসা বাড়িতে চলে যায় তা উদ্ধার করে, তাদের উপযুক্ত পরিবেশ এ অবমুক্ত করাই এই সংগঠন এর মূল লক্ষ্য।

     

    যে কয়েকজন এই সংগঠন এর সাথে কাজ করছে তাদের মধ্যে একজন রাজু। এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক নির্বিষ ও বিষধর সাপ রেসকিউ করেছেন তিনি।পাবনার সব কয়টি থানায় সাপ রেসকিউ করছেন এই যুবক। রাজু বর্তমানে এ টিমের এর সভাপতি হিসেবে আছেন।

    সাপ সম্পর্কে পাবনার মানুষের ধারনা কেমন তার কাছে জানতে চাইলে রাজু বলেন-

     

    পাবনার মানুষ সাপ সম্পর্কে অসচেতন। সাপ কামড়ালে মানুষ ওঝার কাছে চলে যায়, সাপটি নির্বিষ হলে ওঝা তার মত কেরামতি করে রোগী কে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।

    কিন্তু সাপটি বিষধর হলে ওঝা যখন দেখে রোগীর অবস্থা খারাপ, তখন তাকে হসপিটাল এ পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তখন ডাক্তার এর আর কিছু করার থাকে না। এভাবে সাপে কাটা মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢোলে পরে অসচেতনার কারণে।

     

    একটি বিষধর সাপ কামড়ালে বিষক্রিয়া শুরু হতে যে সময় টা পাওয়া যায় তার মধ্যে রোগি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা সদর হসপিটাল এ চলে যেতে পারবে এবং সঠিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠবে।

     

    তিনি আরো বলেন রাতে চলাফেরার সময় লাইট ব্যবহার করলে এবং রাতে ঘুমানোর সময় মশারী টানিয়ে ঘুমালে সাপ এর থেকে নিরাপদ থাকা যায়।

     

    অনেকে সাপ মাড়তে গিয়ে সাপের কামড়ের স্বীকার হয়, স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ কে বললে তারা মানুষ এবং সাপ দুজনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

     

    স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। বিনামূল্যে তারা এই সেবা দিয়ে থাকে।

    আরও খবর

    সৈয়দপুরে মাদক বিরোধী সাইকেল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

    চাটমোহরে মরহুম আলী আজগার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

    রূপগঞ্জে গ্রামবাসীর উপর সন্ত্রাসীদের হামলা  আহত ১০

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    কালীগঞ্জে শ্রমিক লীগের সম্পাদক হামীমকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ

    আরসি ঢাকা নর্থইস্ট কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদান কার্যক্রম

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ