প্রতিনিধি ২৮ নভেম্বর ২০২২ , ৯:৩০:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে চাকরি করছেন তৌহিদুল ইসলাম (২৬)। গত বছরের ১৩ এপ্রিল রাজশাহীর মটোভ্যালি শো-রুম থেকে ৪ লাখ ২৪ হাজার টাকায় একটি বাইক কেনেন। এরপর গত ৮ নভেম্বর শ্বশুরবাড়ি থেকে রেজিস্ট্রেশনবিহীন ‘ইয়ামাহা আর ১৫ ভি থ্রি’ মডেলের ১৫৫ সিসি বাইকটি চুরি হয়।
এর পরদিন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় মামলা করেন তৌহিদুল। এ ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বাইকের কোনো হদিস মেলেনি। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।
তৌহিদুল সলঙ্গা থানার বাসুদেবকোল উত্তরপাড়া মহল্লার সোলাইমান হোসেনের ছেলে। তিনি জানান, বর্তমানে নওগাঁর সাপাহার থানায় কর্মরত আছেন তিনি। তার বাইকটির মূল্য ৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা ছাড়াও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ বাবদ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। সখের ওই বাইকটি ফিরে পেতে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। তবে কবে নাগাত তিনি বাইকটির খোঁজ পাবেন তা জানা নেই।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর বিকেলে সাপাহার থেকে চারদিনের ছুটিতে তৌহিদুল শ্বশুরবাড়ি সলঙ্গা থানার জঞ্জালীপাড়া গ্রামে পৌঁছান। এরপর শ্বশুরবাড়ির গেটের লিচু গাছের কাছে মোটরসাইকেল রেখে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন বাইকটি নেই। তাৎক্ষণিক পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও বাইকটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তিনি পরেরদিন (৯ নভেম্বর) সলঙ্গা থানায় মামলা করেন।
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ছয়দিনের মাথায় সন্দেহভাজন বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাঁতী গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তবে বাইক উদ্ধার ও প্রকৃত চোরকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে গিয়ে বাইক চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাইকটি দ্রুত উদ্ধার ও চোরকে গ্রেফতারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।