প্রতিনিধি ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ , ১২:৩৯:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
শহিদুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার
তিন বছর আগে নওগাঁয় কর্মরত এক বিচারক বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হোন। ওই ঘটনায় করা মামলায় প্রতারণার অভিযোগে বিকাশের এক কর্মকর্তাসহ দুই জনক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশন (পিবিআই) নওগাঁ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যাক্তিরা হলেন, ফরিদপুর জেলা সদরের শের্ট রোড উত্তর কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা জুয়েল খান (৩০) ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মিল্টন বিশ্বাস। গ্রেপ্তার জুয়েল খান ও ফরিদপুর বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিস সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত।মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) তাদেরকে ফরিদপুরের কোতোয়ালী উপজেলার কমলাপুর এলাকা থেকে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে নওগাঁ পিবিআই পুলিশ। পরে তাদেরকে আদালতে নেওয়া হলে তারা স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পিবিআই নওগাঁ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৯ সালে নওগাঁয় কর্মরত একজন বিচারকের ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতারক চক্র দুই দফায় ৭৯ হাজার ৯৮৩ টাকা আত্মসাৎ করে নেয়। এ ঘটনায় ওই বিচারকের অফিস সহকারী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ নওগাঁ সদর মডেল থানায় দণ্ডবিধি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।থানা পুলিশ প্রাথমিকভাবে মামলাটি তদন্ত করে মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে ব্যার্থ হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত মামলাটির নথি পর্যালাচনা করে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই নওগাঁ জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি গ্রহণের পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা বিকাশ কর্মকর্তা জুয়েল খানসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই পুলিশ।
পিবিআই নওগাঁর পুলিশ সুপার নয়মুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট পেয়েন্ট হতে গ্রাহকদের বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করে গ্রাহকদের সাথে কথা বলে কৌশলে পিন নম্বর সংগ্রহ করে নিতেন।
পিন নম্বর পাওয়ার পর তারা ওই সব গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ক্যাশ আউট করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলো। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের আদালতে নেওয়া হলে তারা স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।