প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:১৮:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুল জব্বার বেড়া-সাথিঁয়া (পাবনা)
উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে হিন্দু সম্প্রদায় সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে মহাসম্মেলন হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীয় পূজা। আর শরৎ কালে হয় বলেই বলা হয় শারদীয় উৎসব। সেই শারদীয় দুর্গাপূজা দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই মহোৎসবকে সামনে রেখে কাঁদামাটি, খড়-কাঠ আর প্রতিমা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটছে কারিগরদের। নিখুঁতভাবে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলতেই সর্বোচ্চ মনোযোগ শিল্পীদের। চলতি মাসের ২০ তারিখ শুক্রবার মহাষষ্ঠীতে পূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ মহোৎসব শুরু হবে।
২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের এ উৎসব। ইতোমধ্যে অনেক মন্ডপে মাটির কাজ প্রায় শেষ করেছে শিল্পীরা।
মূর্তি গড়া শেষে রং তুলির কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিড়ে হিন্দুপাড়া ও মহল্লগুলোতে আগাম শারদীয় উৎসবের আমেজ বিরাজমান।
বেড়া-সাঁথিয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জা। প্রতিটি মন্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষী, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাঁস, পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রতিমা। মন্ডপের এক কোনে বসে মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রতিমা রং আর সাজসজ্জার কাজ করছেন কারিগররা। ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গার পূর্ণ অবয়ব। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের সনাতন ধর্মীয় কৃষ্টি-কালচার, পৌরাণিক কাহিনি ও পার্বণের ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মানুষকে সচেতন করার অনন্য আয়োজনে প্রতিমা নির্মাণ। মন্ডপের সামনে বিশাল জলাধারে কৈলাস পর্বতের চূড়ায় ধ্যানমগ্ন মহাদেব। তারই জটায় মা গঙ্গা ঝর্ণারূপে নেমে আসছে। পাদদেশে রাম, সীতা, লক্ষণ আর ভক্ত হনুমান। পর্বতের চূড়ায় মেঘের ভেলা। পুকুরে ভাসমান পদ্ম আর হংসের নান্দনিক উপস্থাপন। ডিজিটাল আলোকসজ্জার অসাধারণ আবহ শিল্প মাধ্যমের অপূর্ব সংযোজন নিয়েই মগ্ন প্রতিমা নির্মান শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য এ বছর বেড়া পৌরসভায় ১৩টি থানা এলাকায় ২৬ টি ও উপজেলায় মোট ৬৩ টি পূজা মন্ডব রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্লোল কুমার দত্ত বলেন পূজা সামনে রেখে সবধরনের আইন শৃঙ্খলা জোড়দার করা হবে। আযানের সময় উচ্চ শব্দে গান বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে। মন্ডপের নিরাপত্তা বাড়াতে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগের বিষয়ে কথা বলেন তিনি।