• সাহিত্য

    আব্দুল জব্বারের লেখা “ঈদ আনন্দে অর্থের প্রভাবে মানব ভেদ”

      প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২৩ , ৯:৫৩:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

     ঈদ মানে আনন্দ,ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসে ভুলিয়ে দিতে সকল দ্বিধা দ্বন্দ। ঈদ মানে হাসির ছলে ভুলে যাওয়া দুঃখ ভয়। ঈদ আসে নতুন বার্তায় সকলের জন্য কল্যনময়। ঈদ মোবারক বা মুবারক ( আরবি শব্দ) হল মুসলিমদের একটি ঐতিহাসিক শুভেচ্ছা বাক্য যেটি আমরা ঈদুল ফিতর ও আযহায় পরস্পরের সকলের ঙ্গাপন করি। ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ উদযাপন মোবারক অর্থ কল্যনময়। ঈদ মোবারক অর্থ আনন্দে উদযাপনে সকলের কল্যন প্রাথনা করা। বছরে দু’বার আসে এ আনন্দ উদযাপন মুহুর্ত। যে মুহূর্তে সকল ইসলাম ধর্মাবলি মানুষ গুলো তাদের সাধ্য মতোন আনন্দ উদযাপন করেন। তবে সে আনন্দে অর্থের প্রভাব বিদ্যমান। যে প্রভাবে আনন্দ হয় প্রকারভেদ।

    মানুষ সামাজিক জীব। সমাজ ধনী গরীব সকল শ্রেনির মানুষের বসবাস।সকলেই ঈদের দিনে আনন্দ উপভোগ করে। তবে ঈদ আনন্দে হানা দেয় অর্থের প্রভাব – যে প্রভাবকে তিন ভাগে ভাগ করেছি আজ : উচ্চ বিত্ত, মধ্যে বিত্ত, নিম্ন বিও।

    উচ্চ বিত্ত – সমাজে প্রভাবশালি ব্যক্তি তাড়া।সমাজ দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি এদের হাতে। এদের মাধ্যমে দেশের লাখো কোটি মানুষের আয় রোজকার জড়িত। এক কথায় দেশের অর্থের গোডাউন এদের কাছে। এ যেন টাকার চোড়াবালি। তাইতো ঈদ আয়োজনে অর্থের কমতি নেই তাদের। ঈদে পরিবার পরিজন সবাই ইচ্ছে মতোন মার্কেট করে।প্রয়োজন ছাড়াই এ যেন অর্থের বড়াই, রুচিসম্মত পোশাক হওয়া যাবেনা কো কারও সাথে মিল প্রয়োজনে দেশ ছেড়ে বিদেশ হবে ঈদ বাজার । ঈদে আয়োজনে থাকে হাজারো খাবার সমাহার। সব কিছু থাকার পরও যেন তাড়া খুজে ফেরে পরিবারের মানুষগুলো স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা। উচ্চ বিত্তের ঈদ যেন অর্থের সীমাবদ্ধতা।

    মধ্যবিত্ত- গোনা টাকা হলেও প্রসারিত যাদের চিএ তাড়া মধ্যবিও। হাজার কষ্টের মধ্যের হার না মানা সৈনিক যারা, ক্ষুধায় কাতর তবু সম্মান তার অস্তিত্ব। বিষাক্ত সর্প দর্শনেও আসেনা নয়নে জল, হাজার ব্যাথা সয়ে বেড়ায় যানার নেই উপায়। যারা সমাজের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে,তাড়া এ সমাজে অনেকটা অবহেলিত । সেই মানুষগুলোর ঈদ কতটা আনন্দ বয়ে আনে। ঈদ বোনাস হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ – যেখানে আবদার ছোট ভাই বোনের আছে পরিবারের আরো সদস্য মা-বাবা সহ স্ত্রী ছেলে-মেয়েদের। পরিবারের আবদারে নিজের চাওয়া হারিয়ে বসে সে, তবুও সৎ পথে রোজগারের টাকায় সকলের আবদার মিটিয়ে হাসি ফোটে তার বুকে। সবার জন্য নতুন ঈদ পোশাক কিনলেও সে ঈদ পার করে পুরাতন পোশাকে। তবুও খত হৃদয়ে ভাব নেই তার মুখে। পরিবারের সকলের হাসি যেন সে হৃদয় খতের ওষুধ, এ তো পরিবারের দায়িত্ব। যে দায়িত্বে অনীহা নয় দায়িত্বশীলতা মূল পরিচয়।জীবনের শেষ গন্তব্য অব্দি এ দায়িত্ব পালন করে। ঈদ আয়োজনে থাকে কোনমতোন খাবার তালিকা, যে খাবারে থাকে গৃহিণীর স্নেহের পরতা। এভাবে বছরের সবচেয়ে আনন্দের দিন কাটায় মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো। যে আনন্দে অর্থ নয় পূর্ণতা পায় পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা।তাইতো বলে সৎ পথের আয় হিসাব করে ব্যায়।

    নিম্নবিত্ত- যদিও বিত্তহীন ঈদের দিন তবুও মনটা হয় রঙিন হা এরা নিম্নবর্গের মানুষ। যারা কিনা জীবনে সংগ্রামে পায় নরকের স্বাদ। জীবনের প্রতিটি ক্ষনে যুদ্ধ করে বাচঁতে হয়। রক্তক্ষয়ী উর্পাজনে যাদের জীবন-যাপন। যে মানুষ কাজের মাধ্যমে সবার মুখের অন্ন তুলে দেয়, তাদের প্রচেষ্টায় আমরা পাই সুন্দর এ পৃথিবীটাকে। এরা কায়িক শ্রমের মানুষ। কখনও কি ভেবে দেখেছেন তাড়া একদিন কাজ বাদ দিলে আপনার আমার কি অবস্হা হবে? সমাজের সেই অবহেলিত মানুষগুলো তাদের কায়িক শ্রমের মাধ্যমে সহয়তা করছে দেশের অর্থনীতেও।তবুও সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত মানুষ তাড়া। ঈদে সেই মানুষগুলোও তাদের সাধ্য মতোন আনন্দ উদযাপন করেন। কোন মতে রোজগারের টাকায় সংসার চালিয়ে কিছু টাকা জমায়। সে জমাকৃত অর্থ পরিবারের জন্য কোনমত ঈদের পোশাক ক্রয় করে। যে পোশাকে থাকেনা উজ্জল ঝলকানি, থাকে ভালোবাসার ছোয়া। সে আয়োজনে থাকেনা হাজার কিংবা শতক প্রকারের খাবার তালিকা থাকে দৈনন্দিনতা। তেমনি দৈনন্দিন থাকে পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের প্রতি স্নেহময় ভালোবাসা। ঈদে এটাই বা কম কিসের। তাইতো বলতে হয় সুখি হতে পয়সা লাগেনা।।

    সত্যই পৃথিবীতে অর্থ সম্পওি কি? সবকিছু! হতে পারে। তবে এও আমরা জানি অর্থ সকল অনর্থের মুল। তাই সে মুল সরিয়ে প্রকৃত সুখ চাই সকলে।
    আমরা সকলেই চাই এই অর্থের ভেদ সরিয়ে বাচঁবে সবাই মানুষ পরিচয়ে।সমাজের সকল মানুষের থাকবেনা কোন ব্যবধান। পৃথিবী হবে এক ভেদাভেদহীন মানুষের পরিবার। সে প্রত্যশা আমার আপনার সকলের। সেই প্রত্যশা ব্যক্ত করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা সবাইকে- ঈদ মোবারক। ঈদ মোবারক। ঈদ মোবারক।

     

     

    লেখক- আব্দুল জব্বার
    সহকারী  শিক্ষক – কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুল
    প্রকাশক – আলোকিত বার্তা ৭১
    আজকের দর্পন-বেড়া-সাঁথিয়া উপজেলা প্রতিনিধি

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ