• আরো

    পাবনাতে শুরু হলো সাপ্তাহিক সাশ্রয়ী বাজার

      প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:১৬:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার: তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পাবনাতে শুরু হলো “সাপ্তাহিক সাশ্রয়ী বাজার”।
    দৈনিক খবর বাংলার প্রধান প্রতিবেদক, খান শপ্ এর স্বত্বাধিকারী, তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোক্তা ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জুবায়ের খান প্রিন্স এর উদ্যোগে এবং তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার সভাপতি, মুখরোচক এর স্বত্বাধিকারী আয়েশা ইরা’র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রতি শুক্রবার বেলা ১১:০০ টা থেকে বেলা ১২:০০ টা পর্যন্ত সাপ্তাহিক একদিন এক ঘন্টার সাশ্রয়ী বাজার শুরু হয়েছে ১৫ রমজান, ৭ এপ্রিল শুক্রবার থেকে।

    করোনা, বহিঃবিশ্বের যুদ্ধ, কর্মহীনতা, মূল্যবৃদ্ধি সহ মধ্যবিত্ত বহু মানুষ গভীর সংকটে পরে গেছে যা লজ্জায় প্রকাশ করতে পারেন না আবার ক্ষুধার জ্বালা ও অপমানে নিরবে চোখের জল ঝরায়। এদের পাশে দাঁড়াতে তারুণ্যের অগ্রযাত্রা

    ” মধ্যবিত্ত বাঁচতে চায়, ব্যয় বুঝে নাই আয়” স্লোগান দিয়ে সংগঠনের সদস্য, পরিবারের সামর্থবানদের কাছে সহযোগিতা চাইলে তারা নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা শুরু করে। দৈনন্দিন প্রয়োজনের ১২ আইটেমের ১১০০/- টাকার বাজার সাশ্রয়ী বাজারে ৭০০/- টাকায় উন্মুক্ত বিক্রয় করে। এই ঘাটতির টাকাটা দেশ-বিদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীদের দানের টাকায় পুরণ করা হয়।

    উদ্যোক্তা জুবায়ের খান প্রিন্স বলেন আমরা নিজেরা চেষ্টা করে প্রথম দিন শুরু করলাম, সকলের কাছে আহ্বান করছি আপনারা যে যা পারেন আমাদের সহযোগিতা করুন যেন আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রাখতে পারি। সংগঠনের আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক মির্জা সাব্বির এহসান জীবন বলেন আজ আমরা স্বল্প পরিমাণ প্যাকেট দিতে পেরেছি এতেই আমাদের ২৫ হাজার টাকা আজ সহায়তা করতে পেরেছি। সারাবছর এমন কার্যক্রম চলমান রাখতে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান প্রয়োজন।

    সামর্থবানরা এগিয়ে আসলেই হয়তো আমরা সফলভাবে সমাজের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তদের কোন রকমে খেয়েপড়ে বাঁচাতে পারবো। তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ফাউন্ডেশন পাবনা জেলা শাখার সভাপতি আয়েশা ইরা বলেন দেশের ও প্রবাসীরা যদি কিছু কিছু করে সহযোগিতা করে, এমনকি মুসলমানদের জাকাত, সাদগা সহ যে কোন রকম দান আমাদের কাছে পৌছে দেয় তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

    কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন তহুরা আজিজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক দেওয়ান মাহবুব, আজকের জয়িতা’ এডমিন নিপা ইসলাম সহ আরও অনেকে।
    এ সময় ক্রেতাদের মতামত জানতে চাইলে তারা বলেন: আমরা মধ্যবিত্তরা সত্যিকারের অসহায়। আমাদের কথা কেউ ভাবেনা। ধনীরা স্বচ্ছল থাকেন সারা বছর, নিম্নবিত্তরা অনেকের কাছ থেকে সহায়তা পায়, অন্তত মুখ ফুটে চাইতে পারে। কিন্তু মধ্যবিত্ত আমরা না পারি কারও কাছে হাত পাততে, না পারি ক্ষুধার জ্বালা সইতে। আমাদের পোশাক, চলাফেরা দেখে কেউ বুঝতেও চায়না আমরা কতটা অভাবি আবার আমরা হাত পেতে দান নিতেও পারিনা পরিবারের মান সম্মানের ভয়ে। আজ যে সুযোগ তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ফাউন্ডেশন আমাদের দিলো তা সত্যিই অভাবনীয়, কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়েও আবেগে কথা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সবার কাছে আমরা অনুরোধ করি আপনাদের দানে আমরা অন্তত স্বল্প দামে কিনে হলেও যেন খেয়ে পরে বাঁচতে পারি। উপস্থিত অনেকেই বলছে সমাজের জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সামর্থবান লোকেরতো অভাব নেই। তারুণ্যের অগ্রযাত্রা ফাউন্ডেশন চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দিলো মানবতা ও সামাজিকতা কাদের বেশি প্রয়োজন। আয়োজকরা জানালেন যেদিন যতটুকু তাদের সামর্থ হবে সেদিন ততোটুকুই সহায়তা দেবার ইচ্ছা রয়েছে তাদের।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    গুইমারায় রিজিয়ন কমান্ডারের হাতে সম্মাননা স্মারক তোলে দিলেন ইউএনও

    পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় গুদাম থেকে মাঠপর্যায়ে গেল নষ্ট সিরিঞ্জ

    উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ৭ কৃষি শ্রমিক নিহত

    পাবনায় বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দ