• আরো

    রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় নৌ-ডুবিতে নিখোঁজ শিক্ষার্থী উদ্ধার হয়নি গ্রেফতার ৪

      প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৫৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    এনামুল হক স্টাফ রিপোর্টার:

    নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খেয়াঘাটে শীতলক্ষ্যা নদী পারাপারের সময় এমভি ওমর সাদিয়া নামক পাথর বোঝাই জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া স্কুল ছাত্রী সালওয়া সাঈদ ওসানাহ্ (১২) আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। নৌকার যাত্রী ৯জন তীরে উঠতে পারলেও বোরখা পরিহিত ওই স্কুল ছাত্রী তীরে উঠতে পারেনি।

    শীতলক্ষ্যায় নৌ-ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী সালওয়া সাঈদ ওসাহার পিতা আবু সাঈদ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। জাহাজের সুকানি শরাফত হোসেন ও সোহান লস্কর, চালক শফিকুল ইসলাম ও গ্রীজার মিরাজ মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।
    নিখোঁজ ওসানার মামা লিখন মিয়া জানান,

    গত ২৬ এপ্রিল বুধবার বিকালে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের পোড়াবো গ্রামের আবু সাঈদের মেয়ে ও শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সালওয়া সাঈদ ওসানাহ শীতলক্ষ্যা নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়। ঘোড়াশালগামী পাথর বোঝাই এমভি ওমর সাদিয়া নামক জাহাজের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    ইছাপুরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাহবুব জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিনরাত উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া স্কুল ছাত্রীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

    এই বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বলেন, আটককৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জাহাজ জব্দ করা হয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    যাত্রাবাড়ীতে দীপ্ত টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা: গ্রেপ্তার-২ 

    নওগাঁয় ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১ টি ফার্মেসিকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

    কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের ০৫ টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    পাবনায় সওজের জমিতে দখলদারদের ‘জমিদারি’

    সুন্দরগঞ্জে সেচ মোটরের লাইসেন্স দিয়ে দুই বছরেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে কৃষককে হয়রানি