প্রতিনিধি ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৯:২৫:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মাঝরাতে অন্যের স্ত্রীর ঘর থেকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল করে দুজনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আপাতত দুজনই পুলিশি হেফাজতে আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে।
আটককৃত শিক্ষক বড়ভিটা ঘোঘারকুটি গ্রামের আফতাব উদ্দিন খন্দকারের ছেলে মো. নুরুজ্জামান খন্দকার। তিনি উপজেলার উত্তর ঘোঘারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। আর ওই নারীর বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারিতে।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর (২৭) সঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পরই শিক্ষক নুরুজ্জামানের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে পরকীয়ায় মেতে ওঠেন দুজন। এক সময় তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বহুবার সতর্ক করা হলেও তিনি থামেননি।
সর্বশেষ বুধবার রাতে ওই নারীসহ তার শোয়ার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকার লোকজন আটক করেন। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোনের মাধ্যমে পুলিশ তাদের ২ জনকে আটক করে ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, মাস্টার আমার সর্বনাশ করেছে। আমি এখন অসহায়। সুষ্ঠু বিচার না পেলে আত্মহত্যা করব।
উত্তর ঘোঘারকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাবেদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে জানা গেছে তিনি নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান (ওসি) জানান, শিক্ষক ও ভিকটিম থানায় রয়েছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।