• আরো

    কুমিল্লার মাঠে সোনালি ধানে দুলছে কৃষকের রঙ্গিন স্বপ্ন

      প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২৩ , ২:৫৪:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    সোহরাওয়ার্দী খান, কুমিল্লা :

    কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ঘরে উঠছে কৃষকের সোনালি স্বপ্নের ধান। মাঠজুড়ে বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। পোকার আক্রমণ হিট রোগ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও ইরি-বোরো ধানের এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।বিভিন্ন উপজেলার কৃষকের ঘরে এখন পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। মাঠে প্রতিটি ধানের শীষে যেন কৃষকের রক্তপানি করা কান্তিমাখা জীবনের স্বপ্ন জড়িয়ে রয়েছে। তার পরও বাম্পার ফলন আর ঈদের আনন্দে মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎসব বইছে। পাকা ধানের শীষে সূর্যের সোনালি রোদ যেন খেলায় মেতেছে। কৃষাণ-কৃষাণীদের মনে বইছে আনন্দ আর মুখে তৃপ্তির হাসি।

    এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সিদলাই ইউনিয়ন এর কৃষক আবদুল মান্নান বলেন ৫০ শতক জায়গার উচ্চ ফলনশীল বোরোধানের চাষ করেছি, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমাদের ফলন ভাল হয়েছে,তবে সার, কীটনাশকের ও সেচ এবং শ্রমিক এর দাম বৃদ্ধি হওয়ার ঘরে ধান তুলা পর্যন্ত আমরা লাভের মুখ দেখতে কষ্ট হবে।

    বুড়িচং উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের কৃষক জলিল মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় ধানকাটা শুরু হয়েছে, তবে ঈদের পরবর্তী সময়ে প্রচন্ড গরম পড়ায় শ্রমিক ধানক্ষেত কাজ করতে চাচ্ছে না। এ ছাড়াও যারা কাজ করে তাদের মজুরী দিতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। তিনি আরো বলেন এ বছর বোরোধানের ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কৃষক জলিল, আবদুল হান্নান, মহসিন মিয়া, জব্বার ও হোসেন সরকার বলেন, আমাদের ধানের চারা রোপণ থেকে এখন পর্যন্ত অন্যান্ন বছরের তুলনায় বেশি খরচ গোনতে হয়েছে,, ধানের দাম ১৫ শত টাকার উপরে না বিক্রি করতে পাড়লে আমাদের বাধভাঙ্গা কষ্ট কষ্টই থাকবে। তবে এ বছরের বোরধান ভালই হয়েছে,তবে ধানকাটার জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে
    কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর কুমিল্লা জেলায় ১৬০ হাজার ৮ শত হেক্টর আবাদ লক্ষ মাত্র নির্ধারন করা হয়েছে, অর্জিত হয়েছে ১৬১ হাজার ৪৫৩ হেক্টর। আমাদের বিভিন্ন উপজেলার ধানকাটা শুরু হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৫ পারসেন্ট ধান কাটা হয়েছে। বর্তমানে ধানকাটার জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ বছর কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলাজুড়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে বাঁধ-ভাঙা আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে কৃষকরা। দিগন্তজোড়া সোনালি ফসলের মনোরম দৃশ্য যেন পেতে রাখা গালিচা। তবে এক সপ্তাহ পরে শুরু হবে ধান কাটার মহোৎসব। প্রচণ্ড তাপদাহেও খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সোনালি স্বপ্ন ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত থাকবেন কৃষক-কৃষাণীরা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ