প্রতিনিধি ৪ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:৫২:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
এনামুল হক :- আলোকিত বার্তা ৭১,স্টাফ রিপোর্টার।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় বাসার গ্যাসলাইনের বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫জন আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতে ১২টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার আউখাবো বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে আশেপাশে থাকাই স্থানীয়রা আগুনে পোড়া দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ইউএস-বাংলা হসপিটালে নিয়ে যায় পরে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
বিস্ফোরণের আগুনে পোড়া
দগ্ধরা হলেন হাসুন বানু (৫৫), তার স্বামী অলি আহমেদ (৬৫), ছেলে ওমর ফারুক (১৮), মেয়ে সাহারা বেগম (২৪) ও ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)।
তবে হাসুন বানুর ভাতিজা মো:- নূরে আলম জানান, রূপগঞ্জের আওখাবো এলাকার জাহাঙ্গীর মাস্টারএর বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন তারা। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাইয়ের গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকান রয়েছে। এ ছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
তিনি আরও জানান, বাসাটিতে তিতাস গ্যাসের লাইনে তেমন গ্যাস থাকে না। সেজন্য রান্নার কাজে গ্যাসের চাপ বাড়াতে ২ সপ্তাহ আগে একটি মোটর লাগিয়েছে দ্রুত গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস টেনে আনার জন্য। পরে রাতে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাস লাইনের মোটর চালু করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তারা, পরে পুরো ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে বলে তাদের ধারণা।
তবে ভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনার সময় হাসুন বানুর বড় ছেলে পোশাক শ্রমিক ফরমুজ (২২) বাসায় না থাকায় তিনি রক্ষা পান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, হাসুন বানুর শরীরের ৪৬ শতাংশ, তার স্বামী অলি আহমেদের ৫৮, মেয়ে সাহারার ৩০, ছেলে ওমর ফারুকের ১৫ এবং ভাই সোনাউদ্দিনের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর।
এ ব্যপারে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।