• রাজনীতি

    একজন নেতা আমাদের আলোরদিশারী

      প্রতিনিধি ৩০ নভেম্বর ২০২৩ , ৭:১৭:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

     আমাদের  সাঁথিয়া -বেড়া ৬৮ পাবনা ১ যার চারপাশ দিয়ে বয়ে গেছে হুরাসাগর নদী, ইছামতী নদী। এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন নিয়ে ভাবনার এক স্বপ্ন সারথী এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।

    এই অঞ্চলের মানুষের সুখ দু:খ সব কিছু নিয়েই সবসময় যে মানুষটা খুবই চিন্তা করে। এই ৬৮ পাবনা ১ আসনে দীর্ঘ ৬৪ বছর রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় এডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি মহোদয় এই অঞ্চলের মানুষের সব কিছুই জানা। শিশুদের প্রতি তার ভালবাসা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। কোন মাঠে শিশুরা খেলবে কিভাবে দৌড়াবে সেটা তিনি সবসময় অনুভব করেন।আমাদের সাঁথিয়া -বেড়াতে এমন নেতা শত সহস্র বছর জন্ম নেবে না। ১৫ বছর সাংসদ থাকা কালীন আমাদের এলাকার স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা যোগাযোগ ব্যবস্থা,ডিজিটালাইজেশন সহ শিশুদের পুষ্টি বিকাশে যেসব ভূমিকা নিয়েছেন সেটা অভূতপূর্ব।

    জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছি ওনার সাথে। আমার দেখা মহান মানুষটি হলেন ওনি , স্বপ্নের মতো আশীর্বাদ হয়ে আসা আমাদের নেতা জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার- শামসুল হক টুকু এমপি মহোদয়। একদিনের একটা ঘটনা বলি গাড়িতে যাচ্ছেন উনি ছোন্দাহ স্কুল এন্ড কলেজ দেখতেছেন, দেখার পরে উনি বললেন কলেজটাকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে হবে, মাঠটা সংস্কার করতে হবে আমার ছেলেরা খেলাধুলা করবে সেটা দেখব, কলেজটার অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে। ১ বছরের মধ্যে কলেজটাতে ৪ তলা বিল্ডিং সহ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব সহ আধুনিক হয়েছে।এই রকম শত শত স্কুল কলেজ মাদ্রাসার আধুনিকায়ন হয়েছে। আমাদের ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য আমাদের নেতার ভাবনা সময়উপযোগী আমাদের নেতা ২০১২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলন করেছে ডোপ টেস্টের মাধ্যম্যে, এছাড়াও যুবলীগের সম্মেলনে ডোপ টেস্ট সহ স্কুল কলেজ ভর্তি, চাকুরী তে ডোপটেস্ট চালুতে আমাদের নেতার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। আমাদের সাঁথিয়া বেড়াতে আমাদের নেতা থাকবেন সবার হ্রদয়ে ভালবাসায়।

     

     

    উল্লেখ্য শামসুল হক টুকু এমপি পাবনার বেড়া উপজেলার বৃশাখিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৬৪ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির হাতেঘরি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ। তিনি পাবনার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধে তার ছোট ভাই আব্দুল খালেক শহীদ হন। ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৬-১৯৯৬ বেড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৫–১৯৯৬ সালে পাবনা জেলা বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৯-২০০২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য হিসেবে নিয়োজিত হন। ২০০৫-২০১৪ পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন এবং দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে নবম সংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ২০১৮ সালে পুনরায় সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পরবর্তীতে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে  দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মাঝি হয়েছে।

     

     

    লেখক সাজিদ খান 

    ল্যাব টেকনিশিয়ান 

    সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ,পাবিপ্রবি

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ