প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২৪ , ৯:৩৭:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুখে ভরবে আগামীর দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন। খাগড়াছড়ির গুইমারায় এ স্লোগান সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করন রাতেও চলছে অবহিতকরণ সভা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষ সচেতনতা মূলক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক পিএলসি কার্যালয়ে সককে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে রাতে দিন কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
হাফছড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ইউনুস হাওলাদার বলেন ,পেনশন স্কিম নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছিলাম, তবে সঙ্কায় ছিলাম করবো কিনা। ইউএনওর স্যারের পরিবার ও বড় ভাই করার কারনে আমার সঙ্কা কেটে গেছে।
আমিও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এলাকার সাধারণ মানুষ দের নিয়ে পেনশন স্কিমে অংশ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম ।
এবিষয়ে গুইমারা সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক এরফানুল হক বেলাল হোসাইনী বলেন,দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সরকার এই পেনশন স্কিম চালু করেছে।
গুইমারার মানুষ যাতে সরকারের এই উদ্যোগে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহন করে এই লক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী রাতে এসে এলাকার সাধারণ মানুষ দেরকে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা লক্ষ্যে রাতেও করলেন সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা।
হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংশে চৌধুরী বলেন,ইউএনওর উৎসাহ অনুপ্রেরনায় অনেকে এই পেনশন স্কিমে ইতিমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।তিনি নিজেও পেনশন স্কিম করেছেন।
সাধারণ মানুষ যাতে শেষ বয়সে পরনির্ভরশীল হতে না হয় এ লক্ষে সরকার এপেনশন স্কিমের কার্যক্রম চালু করেছেন।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করে গুইমারা সকল জনগনকে ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান তিনি।
ইউএনও রাজীব চৌধুরী বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বজনীন পেনশনের বিকল্প নেই।
কর্মজীবন শেষে নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।এ পেনশন চালু হওয়ায় কাউকে শেষ বয়সে সন্তানদের ওপর নির্ভর হতে হবে না। যেতে হবে না বৃদ্ধাশ্রমেও।
তাই গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করেই সর্বজনীন পেনশন চালু করেছেন।
এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনতে এবং নিম্ন আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত সমাজের ৮৫ শতাংশ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে তাই শতভাগ নিরাপদএ কারনে আমাদের প্রত্যেকের উচিত, চারটি পর্যায়ের যেকোনো একটি পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসা।
সেই সঙ্গে তিনি প্রত্যেককে এ পেনশনের আওতায় আসার আহ্বান জানিয়ে ইউএনও রাজীব চৌধুরী বলেন, দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী চাঁদাদাতার মাসিক চাঁদার ৫০% সরকার অনুদান হিসেবে প্রদান করবে।
নতুন অর্থ-বছরে স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও করপোরেশনের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পেনশন দেয়া হবে। মাসিক পেনশনবাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে।
জমানো টাকায় মিলবে ৫০% ঋণ।৬০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা দিলে আজীবন পেনশন পাওয়া যাবে।
পেনশন স্কিমের বিষয়ে গুইমারাবাসীকে সুস্পষ্ট বার্তা ও পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন বলে জানান।
এসময় নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের এই শুভ উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য গুইমারার সকল স্তরের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য অবহিত করন সভায় উপস্থিত হন হাফছড়ি উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আঃ রহিম মজুমদার সহ এলাকার সকল সাধারণ মানুষ ।