প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৯:১৪:০২ প্রিন্ট সংস্করণ
কে.এম.নাহিদুজ্জামান পরাগ, স্টাফ রিপোর্টর:
ডেঙ্গুর জোয়ার যেনো থামছেই না,দেশে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ১ দিনে সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৮৬ জন।
এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে। ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরশন এলাকার ২৩৩ জন রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৭৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯ জন,খুলনায় ৩৯ জন ও বরিশালে ৪৬ জন রোগী হাসপাতালে।
তিনি বলেন, ‘মার্চ মাসে মাঠপর্যায়ে গবেষণা করে দেখা গেছে, এবার ওই সব জেলায় ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আমরা ডেঙ্গু মশার ঘনত্ব, বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, ডেঙ্গু রোগী বিবেচনা করি না। দেখা গেছে শীতকালেও এডিস মশার ঘনত্ব ১০-এর উপরে থাকে সেসব জেলায় মার্চ মাসে বৃষ্টি হলেই তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। প্রথম দিকে আমি মনে করি এডিস মশার ঘনত্ব এখন দ্বিগুণ হয়েছে এবং যদি আমরা রোগীর সংখ্যা বিবেচনা করি, তবে ২০২৩ সালের তুলনায় এই বছরের মার্চ মাসে এটি দ্বিগুণেরও বেশি ছিল ফলস্বরূপ, আমরা যে ডেটা পাচ্ছি তাতে ডেঙ্গু খুব বিশিষ্ট হবে।.
২০২৩ সালে, ৩২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল এবং ১ হাজার ৭০৫ জন মারা গিয়েছিল। গত বছরের জুলাই-আগস্টের আশেপাশে হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় কিছু জায়গায় স্যালাইনের সঙ্কট দেখা দেয়, তারপর স্যালাইনের দামও বেড়ে যাওয়ায় এ বছর এমন পরিস্থিতি যাতে না হয় সেজন্য ৩১ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৈঠক করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, কৃত্রিম সংকট মোকাবেলায় চাহিদার চেয়ে বেশি স্যালাইন উৎপাদন করতে হবে। এ কারণে উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ ছাড়া এখন থেকে সব হাসপাতালে স্যালাইন ক্রয় করে সংরক্ষণ করতে হবে, এ ছাড়া ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের চিকিৎসার জন্য প্লাজমা ও অ্যান্টি-হেমোরেজিক ওষুধ আমদানি করা যাবে কি না। রক্তপাত), বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মার্চ থেকে অক্টোবরকে ডেঙ্গু মৌসুম হিসেবে ধরা হয় এই সময়ে প্রতিমাসে স্যালাইনের চাহিদা প্রায় ৫০ লাখ লিটার সারাদেশে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ কম থাকে এই সময়ে মাসিক এই ধরনের স্যালাইনের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ লিটার।