প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২২ , ৬:০৩:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঢাকায় কাজ শেষে বগুড়ার সোনাতলা থানায় ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে গাড়ি থামিয়ে পুলিশের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি, পুলিশের পোশাক, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা। এঘটনায় জড়িত থাকায় ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের একটি চৌকম টিম। এসময় পুলিশের খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত দুইটি বার্মিজ চাকু ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার আরিফুর ইসলাম মন্ডল বিপিএম (বার),
গ্রেফতার ডাকাত দরের সদস্যরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর উত্তর পাড়ার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে তুষার আহম্মেদ ওরফে ইউসুফ খাঁন (২২) চন্ডিদাসগাঁতী গ্রামের ভারাটিয়া মৃত নুরু মিয়ার ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৪), চর-মালশাপাড়া মহল্লার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আব্দুল লতিফ খান (২১) পুর্ব মোহনপুর গ্রামের বাবু কশাই এর ছেলে ইনামুল হক আশিক (১৯), সয়াধানগড়া মহল্লার কিসমত আলীর শেখের ছেলে আব্দুল মোতাবেল হোসেন (২৬), চক শিয়ালকোল গ্রামের মৃত ফটিক শেখের ছেলে সোহেল রানা (২৮)
পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান আরও জানান,বগুড়ার সোনাতলা থানার একটি অপহরণ মামলার ভিকটিম রুদামিলা আক্তার রিশাকে ঢাকা থেকে উদ্ধারের পর গত ১২ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ের কড্ডা এলাকায় পৌছালে পুলিশের ভাড়াকৃত মাইক্রোবাসটি ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দলের সদস্যরা গাড়িটিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোরে। এসময় মাইক্রোবাসে থাকা অপহৃত ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর চাচা শহিদুল ইসলামের মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তপাত শুরু হয়। মাইক্রোবাসের ড্রাইভার গাড়ীটিকে থামিয়ে রক্তপাত বন্ধ করতে মাথায় গামছা বেধেঁ দেওয়ার সময় ডাকাত দলের সদস্যা গাড়ির পিছন দিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পুলিশের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি, পুলিশের পোশাক, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরের দিন সোনাতলা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযান চালায় পুলিশের একটি চৌকষ দল। ৭২ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ডাকাত দলের লিডার তুষারের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছে তারা। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।,
প্রসঙ্গত, বুধবার (১২ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকায় কাজ শেষে বগুড়ার একটি পুলিশের টিম যাওয়ার সময় সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের সদান্দপুর এলাকায় ৪-৫ পুলিশের গাড়িটি থামিয়ে দুইটি মোবাইল ফোন এবং নগদ কিছু টাকা ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।