প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ , ২:৫১:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
আহসান বরিশাল ব্যুরো চিফঃ
গত ২১ ডিসেম্বর ভোলার লালমোহন উপজেলার ৬ নং ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: মহসিন(৩৯) কে লিপি বেগম(২৫) স্বামী; মো:জামাল(৩৫) এর সঙ্গে বাড়িতে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয় জনতা ধরে। পরে স্থানীয় জনতার সঙ্গে মহসিন মেম্বারের হাতাহাতির সৃষ্টি হওয়ার পরে সেখান থেকে সে চলে যায়। তারপর থানায় গিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে এলাকাবাসীর কাছ থেকে।
সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, ফরাজগঞ্জ ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহসিন এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ৮ নং ওয়ার্ডের কাজীবাড়ির জামাল এর স্ত্রী লিপি বেগমের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। অনেকবার লিপি বেগমের সঙ্গে দেখা করতে আসলে আমাদের সন্দেহ হয়। পরক্ষণে আপনারা শুনেছেন রাত ১১.৩০ মিনিটে মহসিন মেম্বরকে আমরা এলাকাবাসী হাতানাতে সেখানে ধরি।
এ বিষয়ে অভিযোগ করে ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আংকুর বেগম(৩৫) বলেন, মহসিন মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে লিপি বেগমের বাসায় আসতেন। তাছাড়া তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চাল তার বাসায় দিতেন।পরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে ২১ তারিখে আনুমানিক ১১ঃ৩০ মিনিটে তাকে সেই বাসায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা তাকে ধরে। একজন মেম্বার এই ধরনের নিন্দনীয় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকায় আমরা তাকে ধরি ফলশ্রুতিতে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, এবং অভিযুক্ত মহাসিন মেম্বার এর দায়েরকৃত মামলার আসামীর মোঃ বেলালের ছেলে
হাসনাইন (১৮)বলেন, ২১ তারিখ রাতে মহসিন মেম্বার তার মোটরসাইকেলটি লিপি বেগমের বাড়ির সামনে রেখে তার বাসায় প্রবেশ করে। পরে আমরা স্থানীয়রা বাসার কাছে গেলে বাসা থেকে ঝাপিয়ে আমাদের উপর পরে। এতে করে মহসিন মেম্বার এর সঙ্গে আমাদের হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। আমরা এলাকাবাসী তাকে আটক করেছি বিদায় সে আমাদের অনেকের নামে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় উপস্থিত অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, সেই দিন রাতে মহসিন মেম্বরকে লিপি বেগমের বাড়ির কাছে লুঙ্গি পড়া অবস্থায় আমরা দেখেছি।
এ বিষয়ে মহসিন মেম্বার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমার সঙ্গে রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী কিছু দ্বন্দ্ব নিয়ে তারা আমার পিছু নিয়েছিল দীর্ঘদিন ধরে। পরে সেখানে কিছু ব্যক্তিবর্গ পরিকল্পিতভাবে আমাকে আটকায়। আমি মোটরসাইকেল নিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলাম রাস্তা থেকে তারা টেনে নিয়ে আমাকে পরিকল্পিত ভাবে হেনস্তা করে। পরে আমি থানায় মামলা দায়ের করি।
তবে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একজন জনপ্রতিনিধির এরূপ কর্মকাণ্ড সমাজের জন্য ভালো নয়। তাই আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি এবং মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই। এদিকে এ বিষয় আরো জানতে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ফরহাদ আলম মুরাদের সাথে মুঠোফোন প্রকৃত ঘটনাটার বিষয়টি জানতে চাইলে, সাংবাদিকদের জানান, সেদিনের ঘটনাটি আমি জানিনা, এই মুহূর্তে আমি ঢাকা অবস্থান করছি,তবে ৭নং ওয়ার্ডের মহসিন মেম্বার এর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম-দুর্নীতি লুটপাটের এবং নারী কেলেঙ্কারের অভিযোগ রয়েছে, মামলার বিষয় জানতে অফিসারস ইনচার্জ লালমোহন থানা,মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, মামলা হয়েছে,আসামী ৪ জন গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে,পরবর্তীতে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা হবে,