• সারাদেশ

    কাজিরহাট ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া ও টোল আদায়ে অনিয়মের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:০১:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    আলমগীর কবির পল্লব:

    পাবনা কাজীরহাট ফেরিঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী ভাড়া ও গাড়ির টোল আদায়ে নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে ঘাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

     

    ঘাটে প্রশাসনের নজর দারির অভাব এবং BIWTC এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঘাট ইজারাদার ও ঘাটের কিছু দালালদের দৌড়াত্বের কারণে এ রুটে যানবাহন আসা বন্ধ হওয়ার আশংখা রয়েছে।

     

    ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের এক সময়ের একমাত্র যাতায়াতে মাধ্যম ছিল কাজিরহাট আরিচা নৌ-রুট, কিন্তু ২যুগ আগে যমুনা নদীর পূর্বে টাংগাইল জেলার ভুয়াপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার অংশ নিয়ে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ঠ বাংলাদেশ এবং দক্ষিন এশিয়ার দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু সেতুটি ১৯৯৮ সালে ২৩শে জুন আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মুক্ত করা হয়। তারপর থেকেই কাজিরহাট আরিচা নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

     

    এদিকে সরকার বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমানোর জন্য কাজিরহাট আরিচা নৌ-রুটে পূনরায় ফেড়ী চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক গত ২৭শে ফেব্রয়ারী ২০২১সালে ঘাটটি ৪টি ফেরি দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।

     

    উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম নৌ-পথ পাবনা কাজীরহাট-আরিচা ঘাট। প্রতিদিন প্রায় এই রুটে শত শত হালকা, মাঝারি ও ভারী যানবাহন পারাপারসহ সাধারণ যাত্রীরাও পারাপার হয়ে থাকে এই রুটে।

     

    কিন্তু ঘাটে অতিরিক্ত গাড়ির টোল আদায় করছে BIWTC এর কর্মকর্তারা। এমনই অভিযোগ গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারদের।সেইসাথে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকেও ৩৬ টাকার ভাড়া ৪৫/৫০ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে।

     

    এদিকে এ ঘাটে নিয়ম না মেনে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত চলে স্পিড বোর্ড। তবে স্পিড বোডে,মাত্র ১৮/২০মিনিটের পাড়াপাড়ের ভাড়া বেশি বলে মনে করেন পথচারী যাত্রী। শুধু ভাড়া বেশিই নয় ধারণ ক্ষমতার বাইরে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী। বেশির ভাগ বোর্ডে ব্যবহার করা হয় না সেফটি জ্যাকেট। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।

     

    কাজীরহাট ঘাটে গত ৩ বছর আগে পথচারী যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি ওয়াশ রুম তৈরী করলেও উদ্বোধনের পর আলোর মুখ দেখে নাই যাত্রীরা।

     

    আরিচা ঘাটের দায়িত্বে থাকা ইজারাদারের লোকদেও কাছে অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সবকিছু অস্কীকার করেন।ঘাট ইজারাদারের লোক BIWTC এর কর্মকর্তা মোঃ ফখরুজ্জামান তিনি নিজেদের ডিপার্টমেন্টের অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করলেও ঘাটে কিছু দালাল আছে বলে সিকার করেন তিনি।

     

    ঘাটের বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সবুর আলী বলেন, যাত্রীদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঘাটের রাস্তা প্রসারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

     

    তিনি আরও বলেন, সকল অনিয়ম রোধ করে ঘাটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ